পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৪০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৬২ দেবগণের মর্ত্যে আগমন জগতের আদিম ধৰ্ম্ম। অন্তান্ত ধৰ্ম্ম ইহা হইতে উৎপন্ন হইয়াছে। যেমন দীপ শিখাতে টকা ধরাইয়া সেই টকা গৃহ-চালে ধরাইয় দেও, গৃহাগ্নি যেমন দীপ শিখ হইতে পৃথক্ বলিয়া বোধ হইবে, তদ্রপ ভিন্ন ভিন্ন দেশের আচার ব্যবহার অনুসারে এক ধৰ্ম্ম নানা রূপ ধারণ করিয়াছে । অতএব পৃথিবীর সকল ধৰ্ম্মই এক আর্য্যধৰ্ম্মের মহিমা প্রচার করিতেছে। (সকলের করতালি ) ব্ৰহ্মা। বেশ বাবা বেশ–খুব ব’লছে। নারা। ওকি ? সকলে যে অসভ্য ব’লবে! এন্ধা । বলে আমাকে ব’লবে, তুমি থাম । বক্তা। আর্য্যাধৰ্ম্মানুসারে কাজ করিতে হইলে অগ্রে শরীরগুদ্ধি, পরে চিত্তশুদ্ধি, তৎপরে আত্মশুদ্ধি করিতে হয় ; তবে আত্মার দর্শন পাইবে—জীবন সার্থক হইবে । শাস্ত্রবিহিত ব্ৰতাদি ও উপবাস দ্বারা শরীরগুদ্ধি হয়, তপ জপ দ্বারা চিত্তশুদ্ধি হয়, উপাসনা দ্বারা আত্মশুদ্ধি হয়। নচেৎ পীড়িত শরীরে স্কৃত ও মিষ্টান্ন খাইলে প্লীহা প্রভৃতি রোগ দেখা দেয় এবং অকালে মৃত্যুগ্রাসে নিপতিত হইতে হয়। দেখ, যে স্কৃত ও মিষ্টান্ন সুস্থ শরীরের বলকারক, তাহাই আবার অসুস্থ শরীরের হলাহল স্বরূপ হইয়া থাকে। যদি কেহ বলেন—মুলশাস্ত্রে একমাত্র ব্রহ্মেরই উপাসনা উক্ত আছে, তবে প্রতিমা পূজা করার আবশুকত কি ? তদুত্তরে আমি বলি, প্রতিমা পূজার কালে ধ্যান করিতে হয়। সেই ধ্যানমন্ত্রের দ্বারা ঈশ্বরকে মনোমধ্যে ধারণ করিবার ক্ষমতা জন্মে। অতএব হে জীব ! জীবন যদি সফল করিতে চাহ, সাধকমণ্ডলীর সঙ্গ লও, তাহাদের উপদেশ গ্রহণ কর, আর সময় নষ্ট করিও না। ধৰ্ম্ম সাক্ষাৎ ঈশ্বরস্বরূপ। ব্ৰহ্মা। খুব বলেছ বাবা । বক্তৃতা শেষ হইলে পুনরায় কয়েকট ধৰ্ম্মসংগীত হইয়া সভাভঙ্গ হইল । তখন সভ্যগণ একে একে প্রস্থান করিতে লাগিলেন দেখিয়া দেবগণও