মুঙ্গের ২৬৩ বাসায় আসিলেন। ব্ৰহ্মা কহিলেন “আমি মুঙ্গের আর্য্যসভা দেখিয়া পরম পরিতুষ্ট হইয়াছি। যদি ইহাদের দৃষ্টান্ত অনুসারে প্রত্যেক গ্রামে গ্রামে ও নগরে নগরে এইরূপ এক একটা ধৰ্ম্মসভা প্রতিষ্ঠিত হয়, এবং তৎসহ এক একটা সংস্কৃত চতুষ্পাঠী থাকে, তাহা হইলে দেখিবে সত্বরেই লুপ্ত সংস্কৃত বিদ্যার পুনরুদ্ধার হইয়া আবার সত্যযুগ আরম্ভ হইবে । বরুণ ! কলিকাতায় চল। আর এখানে অনর্থক কাল বিলম্বের আবশুকতা নাই।” পর দিবস দেবগণ ষ্টেশনে আসিয়া ভাগলপুরের টিকিট লইয়া ট্রেণে উঠিলেন। ট্রেণ “ছ ছ পাইয়া ছ_ছ পাইয়া” শব্দে জামালপুরের অভিমুখে ছুটিতে লাগিল। ব্রহ্মা কহিলেন “বরুণ! মুঙ্গেরের অপরাপর বিষয় সংক্ষেপে বল ।” বরুণ । মুঙ্গেরে একটা বঙ্গ বিদ্যালয়, একট দাতব্য সভা, একটা সাধারণ পুস্তকালয় আছে। রামপ্রসাদ নামক একজন জমীদার ভাগীরথীতীরে ইষ্টকনিৰ্ম্মিত যে একটা ঘাট বাধাইয়া দিয়াছেন, সে ঘাটটাও দেখিবার উপযুক্ত। এখানে হিন্দু মুসলমান উভয় জাতির পরস্পর বিলক্ষণ সম্ভাব দেখা যায়। ইহার একাসনে বসিয়া পাণ ও তামাক খাইয়া থাকে। মুসলমানের হিন্দুর পর্বে এবং হিন্দুরাও মুসলমানদিগের পর্বোপলক্ষে যোগ দিয়া থাকে। ব্রাহ্মণ ও রাজপুত ভিন্ন এখানে অপর বর্ণে বিধবাবিবাহ প্রচলিত আছে। মুঙ্গেরের মটুকী ঘি বড় বিখ্যাত। এক সময় এখানে দশ টাকা করিয়া স্বতের মণ বিক্রয় হইয়াছিল। এখানকার কৰ্ম্মকারের উৎকৃষ্ট বন্দুক প্রস্তুত করিতে পারে। কিন্তু উপযুক্ত উৎসাহ ও শিক্ষার অভাবে দিন দিন মাটি হইয়া যাইতেছে। মুঙ্গেরের জল হাওয়া বড় বিখ্যাত এজন্ত বর্ষে বর্ষে অনেক জমীদার ও ধনাঢ্য ব্যক্তি স্থান পরিবর্তনের জন্ত আসিয়া থাকেন। মুঙ্গেরের পাথর, পাখী ও ছেলেদের খেলান বড় বিখ্যাত । এই সময় ট্রেণ “কঁ্য কোচ ঝমাৎ” শব্দে জামালপুর প্লাটফরমে আসিয়া থামিল এক দেড়ে সাহেব আসিয়া গাড়ীর দ্বার খুলিয়া টিকিট দেখিয়া
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৪০৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।