পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৪০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৬৪ দেবগণের মর্ত্যে আগমন চলিয়া গেল। দেবগণ নামিয়া মেন লাইনে ট্রেণে উঠিতে চলিলেন। যাইবার সময় উপ কহিল “ঠাকুর কাকা! সাহেবটার কি প্রকাও দাড়ী ! দাড়ী ধ’রে ফুলে বেশ দোল খাওয়া যায়।” জামালপুরে ট্রেণ অনেকক্ষণ পৰ্য্যস্ত থামিয়া থাকে। দেবতারা গাড়ীতে উঠিয়া দেখেন—একটি বাবু পরিবারের হাত ধরিয়া একখানি ইণ্টারমিডিয়েট গাড়ীর দ্বারে আসিয়াস্ত্রীকে কহিলেন “উঠ।” স্ত্রী। না, আমি কখন উঠবে না। তুমি আমাকে বরাবর বলেছ গদিওয়ালা গাড়ীতে নিয়ে যাবে, এ গাড়ীতে গদি কই ? বাবু। এ বৎসর হতে ভাই ! তোমার কপালে গদিওয়ালা গাড়ী ঘুচে গিয়েছে। আমার একান্ত সাধ ছিল, তোমাকে গদিতে বসিয়ে নিয়ে যাব। ইন্দ্র। বরুণ ! উহার স্ত্রী পুরুষে বলে কি ? বরুণ। বাবুট ৪০ টাকা বেতনের রেলওয়ে কেরাণী। রেলওয়ে কোম্পানির নিয়ম ছিল ৪০ টাকা বেতনের কেরাণীরা সেকেওক্লাশের পাশ পাইবেন। এজন্য বোধ হয় বাবু স্ত্রীর কাছে আস্ফালন করিয়াছিলেন *এবার আমার বেতন বৃদ্ধি হইয়া ৪৯২ টাকা হইয়াছে ; অতএব তোমাকে গদিপাত। গাড়ীতে তুলিয়া বাড়ী লইয়। যাইব । কিন্তু বাবুর ভাগ্যদোষে রেলওয়ে কোম্পানি সম্প্রতি নিয়ম করিয়াছেন, ৮০ টাকা বেতনের কেরাণীরা সেকেণ্ড ক্লাসে যাইবেন । তাহার নিম্ন বেতনের কেরাণীরা ইন্টারমিডিয়েট এবং চল্লিশের নিম্ন বেতনের কেরাণীরা থার্ড ক্লাশের পাশ পাইবেন । স্ত্রীলোকেরা ত এসব খবর রাখেন না, কেবল “গদি কই” *গদি কই বলিয়া আব্দীর করিতেছেন । ইন্দ্র । আহা ! মরে যাই। দেখ বরুণ ! রেলওয়েতে পেন্সন নাই, উপরিও নাই ; মুখ কেবল পাশে যাওয়া । সে বিষয়ে কোম্পানি এত কড়াকড় নিয়ম ক’রে ভাল করেন নাই। বাবু। উঠ উঠ, গাড়ী চলে যাবে। স্ত্রী । না আমি কখন যাব না ; গদি কই আগে দেখাও।