পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৪০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুঙ্গের ২৬৫ এদিকে ট্রেণ ছাড়িবার উদ্যোগ করিলে অগত্য র্তাহার স্ত্রী পুরুষে উঠিয়া রসিলেন। ট্রেণ স্থপ হপ শব্দে ষ্টেশন অতিক্রম করিয়া স্যাৎ স্যাৎ শব্দে জামালপুর টনালের মধ্যে প্রবেশ করিল। হঠাৎ ট্রেণ অন্ধকারের মধ্যে প্রবেশ করিলে পিতামহ বিপদাশঙ্কা করিয়া বরুণকে আঁকৃড়াইয়া ধরিয়া চীৎকার করিতে লাগিলেন এবং আসন্নকাল উপস্থিত ভাবিয়া দুর্গ নাম স্মরণ করিলেন। বরুণ “ভয় নাই” বলিয়া আশ্বস্ত করিতেছেন, এমন সময়ে ট্রেণ সঁ সঁ সোৎ শব্দে টনাল অতিক্রম করিয়া আবার স্থপাছপ শব্দে ছুটিতে লাগিল । সূৰ্য্যালোক দেখিয়া বৃদ্ধ পিতামহ দেহে প্রাণ পাইলেন। তখন তিনি হাসতে হাসতে কহিলেন “বরুণ ! ব্যাপারখানা কি ? গর্তের মধ্যে গাড়ী নিয়ে গিয়েছিল কেন ?” বরুণ । আজ্ঞে—এই জামালপুর টনাল অর্থাৎ অৰ্দ্ধ মাইল আন্দাজ পৰ্ব্বত খনন করিয়া তন্মধ্য দিয়া রেলরাস্ত প্রস্তুত করিয়া গাড়ী চালাইতেছে। ব্ৰহ্মা । বল কি ? পৰ্ব্বত খনন করিয়া রেলরাস্তা প্রস্তুত করেছে ? ইহাদের ত অসাধ্য কাজ নাই, ইহারা সব পারে ! এদিকে ট্ৰেণ বরিয়ারপুর ষ্টেশন অতিক্রম করিয়া সুলতানগঞ্জে আসিয়া উপস্থিত হইলে ব্ৰহ্মা কহিলেন “বরুণ ! এ স্থানের নাম কি ?” বমুণ। এই স্থানের নাম সুলতানগঞ্জ। এই সুলতানগঞ্জেই জহ, মুনির আশ্রম ছিল। ভগীরথের তপস্তায় ভাগীরথী মস্তুষ্ট হইয়া যখন পৃথিবীতে আগমন করেন, এই স্থানে উপস্থিত হইলে তাহার জলস্রোতে মুনির কোশাকুশী ভাসিয়া যায়। ইহাতে মুনি ক্রোধান্ধ হইয়া গওষে গঙ্গাকে পান করিয়াছিলেন। ভগীরথ অকস্মাৎ গঙ্গাকে অদৃগু হইতে দেখিয়া মুনির চরণ ধারণ করিয়া রোদন করিতে লাগিলেন। বালকের রোদনে মুনির মনে দয়ার সঞ্চার হওয়ায় গঙ্গাকে বমন করিয়া বাহির করিয়া দিলে পাছে তিনি অপবিত্র হন, এই আশঙ্কায় উরুদেশ চিরিয়া