পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৪১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৬৬ দেবগণের মর্ত্যে আগমন বাহির করিয়া ভগীরথকে প্রত্যপণ করিয়াছিলেন। ঐ জহ মুনির নাম হইতে ভাগীরথীর অপর নাম জাহ্নবী হইয়াছে। ব্ৰহ্মা। এখানে আর কি আছে ? বরুণ। গঙ্গার মধ্যস্থলে চরের উপর একটা মন্দিরে গৈরিকনাথ নামক এক শিব আছেন। শিবরাত্রির সময় এবং মাৰী পূর্ণিমার সময় বিস্তর যাত্রী এই শিবের পুজা দিতে আসে। কথিত আছে—কোন সময়ে এক জীর্ণ শীর্ণ বৃদ্ধ ব্রাহ্মণ বৈদ্যনাথের মস্তকে জল দিতে যাইতেছিলেন । র্তাহার শরীরে এমন বল ছিল না যে, চলিতে পারেন। সুতরাং অতি কষ্টে বসিয়া বসিয়া যাইতেছিলেন। ব্রাহ্মণের কষ্ট দেখিয়া বৈদ্যনাথ অপর এক ব্রাহ্মণবেশে আসিয়া বলিলেন “পিপাসায় প্রাণ যায়, ঐ জল আমাকে দেও, পান করি।” বৃদ্ধ তদুত্তরে বলিলেন -এ জল আমি বাবা বৈদ্যনাথের নাম করিয়া লইয়া যাইতেছি, অতএব কি প্রকারে দিতে পারি ?” বৈদ্যনাথ বলিলেন “পিপাসায় জল না দেওয়া মহাপ্লাপ—তুমি বরং এ জল আমাকে পান করিতে দিয়া অপর জল গঙ্গা হইতে তুলিয়া লইয়া যাও।” তৎশ্রবণে র্তাহাকে জল প্রদান করিলেন। তখন ব্রাহ্মণরূপী বৈদ্যনাথ সন্তুষ্ট হইয়া কহিলেন “তুমি যাহাকে জল দিতে যাইতেছ, আমিই সেই বৈদ্যনাথ ! তোমার ভক্তি ও কষ্ট দেখিয়া দয়া হওয়ায় এখানে আসিয়া দেখা দিলাম, আর তোমাকে বৈদ্যনাথে যাইতে হইবে না। অতঃপর আমি এই সুলতানুগঞ্জের গৈরিকনাথ শিবের মধ্যে রহিলাম। লোকে এখানে আমার মস্তকে জল প্রদান করিলে বৈদ্যনাথের মস্তকে জল প্রদান ফল প্রাপ্ত হইবে ।” ব্ৰহ্মা। আ মরি মরি! ভক্তি শ্রদ্ধা না থাকিলে কি দেব দেবীর অনুগ্রহ হয় ? নারায়ণ ! দেখ ; আর তুমি কি না “এ ক’রবো কেন?” “ও করবো কেন” “এ করে কি হয় ?” ব’লে আমার সঙ্গে বাকৃবিতও কর । পুনরায় ট্রেণ ছাড়িল এবং অনতিবিলম্বে ভাগলপুর ষ্টেশনে আসিয়া