ভাগলপুর ২৬৭ উপস্থিত হইল। দেবগণ দেখিলেন—অনেকগুলি লোক ব্যাগ হস্তে ট্রেণে উঠিবার জন্ত ছুটাছুটি করিতেছে। কোন বাবু যুবতী স্ত্রীর হাত ধরিয়া প্রত্যেক কামরার দ্বারের নিকট ছুটির ছুটিয়া যাইতেছেন। স্ত্রীর সমস্ত অবয়ব একখানি মোট বস্ত্রের দ্বারা আচ্ছাদন করা । স্বামী তাহার হাত ধরিয়া যে দিকে টানিতেছেন, তিনি কলের পুত্তলিকার দ্যায় সেই দিকে যাইতেছেন। বরুণ হাস্ত করিয়া কহিলেন “আহা ! গৃহে ইহঁরা শতমুখীহস্তে দিগম্বরী, এখন যেন চোরটা ?” এই সময় “চাই পাণ” “চাই পাণ” *চাই জলখাবার” চারিদিকে শব্দ হইতে লাগিল এবং একজন ভাঙ্গল গলায় *ভাগলপুর” “ভাগলপুর” শব্দে চীৎকার করিয়া উঠিল। দেবগণ গাড়ী হইতে নামিয়া গেটে টিকিট দিয়া বাহির হইলেন এবং একখানি গাড়ী ভাড়া করিয়া নগরাভিমুখে চলিলেন। ভাগলপুর রেলওয়ে কম্পাউণ্ড অতিক্রম করিয়া দেবগণের গাড়ী এক সংকীর্ণ স্থানে আসিয়া উপস্থিত হইল। স্থানট এত সংকীর্ণ যে, সুৰ্য্যালোকেরও প্রবেশপথ নাই। ব্ৰহ্মা কহিলেন “বরুণ ! যমালয়ে যাইবার দক্ষিণ রাস্তার স্তায় এ কোথায় আনিলে ?” বরুণ। এ স্থলের নাম ভাগলপুরের মাড়োয়ারি পট। এখানকার মাড়োয়ারির কলিকাতার বড়বাজারের মাড়োয়ারিদিগের স্থায় অতি সংকীর্ণ স্থানে বাস করিয়া থাকে । এই সময় ঢাকের বান্তে র্তাহাদের গাড়ীর ঘোড়া দুইট লাফাইতে লাগিল। কোচম্যান দ্রুতগতি গাড়ী হইতে নামিয়া চুমকুড়ি দিতে দিতে ঘোড়া ছটকে ধরিয়া গাড়ী খানি রাস্তার এক পাশ্বে লইয়া যাইল। দেখিতে দেখিতে অনেকগুলি ঢাকী ঢাক বাজাইতে বাজাইতে চলিয়া গেল ও অশ্বা
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৪১১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।