ভাগলপুর ২৭১ মায় কতকগুলি টুটি কাটা খালি, কতকগুলি টুটি কাটা মুরগী পড়িয়া যন্ত্রণায় ছট্ফট্ করিতেছে। এই সময় একজন চাচা “বিশমোল্লা” শব্দ করিয়া একটা মুরগী জবাই করিয়া ছাড়িয়া দিল, মুরগীটা মৃত্যুযন্ত্রণায় ছটুফটু করিতে করিতে জঙ্গলের দিকে চলিল। তথাপি সে “বিশমোল্লা বিশমোল্লা” শব্দে চীৎকার করিতে ছাড়িল না। বোধ হয় তাহার চীৎকারে বিশমোল্লার পরিবর্তে এক বিয়াল্লিশমোল্লা (শৃগাল ) সন্তুষ্ট হইয়া বন হইতে বাহির হইয়া মুরগীটিকে মুখে করিয়া লইয়া দে দৌড় ! মুসলমানের লাঠি হস্তে লইয়া মুরগীর উদ্ধারে ছুটিল ; কিন্তু বিয়াল্লিশমোল্লা আর প্রত্যপণ করিল না । ব্ৰহ্মা। বরুণ ! এ কোন নরকে নিয়ে এলে ? বরুণ। এস্থানের নাম সরাই । এখানে ভাগলপুরের মুসলমানের বাস করে। ঐ দেখুন দূরে দুই তিনট মুসলমান ভজনালয় অর্থাৎ মসজিদ দেখা যাইতেছে। ঐ সমস্ত ভজনালয়ে এখানকার মুসলমানের প্রত্যহ ফয়তা দেয় । 参 উপ। কৰ্ত্ত জেঠা ! আমি ফয়ত দেব ? - ব্ৰহ্মা। দূর হ ! দূর হ ! হতভাগা ছেলে ! তোর আর আমি মুখ দেখুবন । বরুণ ! আহা ! থাসীগুলোকে ওরা অমন ক’রে দগ্ধে দগ্ধে হত্যা ক’রচে কেন ? বরুণ। উহাদের হিন্দুদিগের উপর এমনি জাতক্রোধ যে, তাহার যাহা করে, ইহার তাহার ঠিক বিপরীত করিয়া থাকে ; যথা –তাহার। মাথায় চুল রাখে, ইহারা ওলকামান করিয়া মাথা কামায়। তাহারা দাড়ী রাখে না, ইহার দাড়ী রাখে। তাহার কাছ দেয়, ইহার কাছ খোলে। তাহারা পূৰ্ব্বমুখে সন্ধ্যা আহ্নিক করে, ইহারা পশ্চিম মুখে ফয়ত দেয়। তাহার কলা পাতার সোজা দিকে ভাত খায়, ইহার উল্টা দিকে ভাত থাইয়া থাকে । তাহারা ভগিনীকে বিবাহ করে না, ইহারা ভগিনী বিবাহ
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৪১৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।