ՀԳ8 দেবগণের মর্ত্যে আগমন কহিলেন “তোমার পুত্রের বিবাহরাত্রে বাসরঘরে সর্পদংশনে প্রাণত্যাগ হইবে।” চাদ এই কথায় বাটীর সন্নিকটস্থ সাতালি পৰ্ব্বতের উপর এক লৌহের বাসরঘর প্রস্তুত করাইলেন এবং বেহুল নামী এক সুন্দরীর সহিত পুত্রের বিবাহ দিয়া সেই রজনীতেই পুত্র ও পুত্রবধুসহ বাটতে প্রত্যাগমন করিয়া তাহাদিগকে ঐ বাসরঘরে স্থাণন করিলেন । মনসার আদেশে ও ভয়ে কারিকরের ঐ লৌহনিৰ্ম্মিত বাসরঘরের এক স্থানে অতি সামান্তমাত্র ছিদ্র রাখিয়াছিল । মনসা ঐ সামান্ত ছিদ্র দিয়া প্রবেশ করিয়া নর্থীন্দরকে সংহার করিবার বাসনায় অতি স্বল্প সুত্রের আকার সুদর্শন নামক একজাতীয় সপকে প্রেরণ করেন । সৰ্প অবলীলাক্রমে প্রবেশ করিয়া তাহাকে সংহার করে। প্রাতে বেহুলা সতী মৃত পতিকে ক্রোড়ে করিয়া কাদিতে লাগিলেন এবং শ্বশুরকে বলিয়া এক কদলীভেলা প্রস্তুত করিয়া লইয়। তাহাতে পতি সহ আরোহণ করিয়া ভাগীরথীতে ভাসিতে ভাসিতে চলিলেন । তিনি এক স্থানে উপস্থিত হইয়া শুনিলেন, তথাকার কোন ধোপানী দেবতাদিগের কাপড় কাচিয়া থাকেন। অতএব ঐ ধোপানীর আশ্রয় লইলে উপকার হইবার সম্ভাবনায় পতিকে ভেলা সহ এক স্থানে বাধিয়া রাখিয়া ধোপানীর গৃহে যাইয়া আশ্রয় লইলেন, এবং তাহাকে মাসী সম্বোধনে ডাকিতে লাগিলেন । একদিন বেহুলা ধোপামাসীকে অনেক অনুনয় বিনয়ে সম্মত করিয়া দেবতাদিগের বস্ত্রগুলি এমন পরিষ্কার করিয়া কাচিয়া দেন যে, দেবতারা সন্তুষ্ট হুইয়া তাহাকে দেখিতে চাহেন এবং বর লইতে অনুরোধ করেন । এই সুযোগে সতী দেবতাদিগের নিকট হইতে বর লইয়া মৃত পতির প্রাণ দান করিয়াছিলেন। তদ্ভিন্ন তিনি আরো দুটা বর লন, তন্মধ্যে একটাতে স্বামীর ছয় অগ্রজের জীবন দান ; অপরটাতে শ্বশুরের জলমগ্ন সপ্ত তরীর পুনরুদ্ধার । চাদ সদাগর পুত্র পুত্রবধূ, সপ্ত ডিঙ্গ এবং অপর পুত্রগণকে পাইয়া মহাসন্তুষ্ট হইলেন, এবং তদবধি ভক্তির সহিত মনসার পূজা আরম্ভ করিলেন। অদ্যাপি এই চম্পাইনগরে বৎসর
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৪১৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।