২৭৬ দেবগণের মর্ত্যে আগমন রমণী কহিলেন “তবে আমিও বলি—আমার স্বামীর কাছে স্কুলে পড়ে বিস্তার জাহাজ নিয়ে তবে ত ইহার রেলে চাকুরী ক’চেন ।” ইন্দ্র । বরুণ! গাড়ীতে ইহার কারা ? বরুণ। কথার ভাবে বোধ হ’চ্চে—ষ্টেশন মাষ্টার বাবুর স্ত্রী, টেলিগ্রাফের বাবুর স্ত্রী, টিকিট বিক্রেতা বাবুর স্ত্রী, এবং স্কুল মাষ্টার বাবুর স্ত্রী, নিমন্ত্রণ খাইতে আসিয়া কাহার স্বামী বড় চাকুরে, এ বিষয়ে বিবাদ করিতেছেন । নারা। দেখ বরুণ ! ইহাদের বিবাদ দেখে আমার একটা হাস্তজনক কথা মনে পড়লে । এক সময় আমার নুতন বাগানের প্রজার একটা যাত্রার দল করে। ঐ দলে তিনকড়ি ছলে হনুমান সাজুতো । এক দিন তিনকড়ির স্ত্রী গোয়ালঘর পরিষ্কার করিতে আসিয়া বাড়ীর মেয়েদের কাছে গল্প করিতেছে—“কা’ল কৰ্ত্তা যেতে না পারায় যাত্রা হয় নি ; এমন আশ্চৰ্য্য দেখি নি, এত লোক রয়েছে তিনি না যাইলে কি একদিন চালিয়ে নিতে পারে না ।” আমার বড় মেয়ে রাজেশ্বরী এই কথা শুনিয়া জিজ্ঞাসা করিল—“হ তিমুর বেী ! তিমু যাত্রায় কি সাজে ?” তিমুর স্ত্রী কিছুতেই বলে না, অনেক পীড়াপীড়ির পর কহিল “বুঝতে পারলে না রাঙ্গ দিদি ! যা না হ’লে রামযাত্র হবার যো নাই ।” রাজেশ্বরী কহিল “তিমু কি হনুমান সাজে ?” তিমুর স্ত্রী কহিল “ওগো হ্য।” আজ আমার এদের কথা গুনে তিমুর স্ত্রীর কথা মনে পড়ে গেল । ইহার পর দেবগণ একটা দোকানে আহারের উদ্যোগ করিতে লাগিলেন। পিতামহ মাছের ঝোলের একটু হলুদ চাহিয়া হয়। অগ্নিতে উত্তপ্ত করিয়া কোমরে হাত দিতে লাগিলেন। ইন্দ্র কছিলেন “ঠাকুর দা ! কোমরে হলুদ দিচ্ছেন কেন ?” ব্ৰহ্মা । ভাই ভাগলপুরের উচু নীচু রাস্ত চলে গিয়ে কোমরটা ভেঙ্গে গিয়েছে ; এমন সহরে রাস্তার অবস্থা অমন কেন
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৪২০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।