ভাগলপুর :ፃፃ উপ। কৰ্ত্ত জ্যেঠা ! দেখুন—রাস্তার ধুলায় আমার শাদা রেফার রাঙ্গা হয়ে গিয়েছে। আহারাস্তে দেবগণ পুনরায় নগর ভ্রমণে বহির্গত হইয়া সাহেবগঞ্জে আসিয়া দেখেন- অনেকগুলি লোক দুঃখ প্রকাশ করিতে করিতে আসিতেছে । তাহাদের মধ্যে কেহ গোরুর খোরাকের জন্ত ঘাস কাটিয়া মাথায় করিয়া আনিতেছে। কেহ ভাগলপুর হইতে দূর দেশে যাইয়। খেস ও বাপ্ত বিক্রয় করিয়া প্রত্যাগমন করিতেছে । কাহারও বা মস্তকে ফুলকপীর ডাল, কাহারও ঘাড়ে ত্রিশ সের ওজনের চাউলের বস্ত । ইন্দ্র। বরুণ ! উহার কারা ? বরুণ। দেশীয় খৃষ্টানের দল। এই সাহেবগঞ্জেই দেশীয় খৃষ্টানের বাস করিয়া থাকে । ইহাদের দুরবস্থা প্রত্যক্ষ দেখিতেছ, অতএব বর্ণনা করা নিম্প্রয়োজন। এথানে উহাদের উপাসনার জন্ত একটা রোমান ক্যাথলিক চর্চ আছে। নারা। দুঃখ করতে করতে খৃষ্টানের প্রত্যাগমন করিল কেন ? বরুণ । তখন উহারা ভাবিয়াছিল, আলোর মুখ দেখে সুখী হইবে । এক্ষণে আলোর পরিবর্তে অন্ধকার দেখিয়া বড় কষ্ট পাওয়াতে কাজেই দুঃখ করিতেছে। র্তাতিকুলও গেল—বৈষ্ণবকুলও গেল ! ক্রমে সকলে যাইয়। কোম্পানীর বাগানের নিকট উপস্থিত হইয়া দেখিলেন—বাগানটী বহুদুর বিস্তৃত, কিন্তু তাদৃশ শোভা-সৌন্দৰ্য্য নাই। তাহারা উদ্যান ভ্রমণ করিতে করিতে একটা সুন্দর অট্টালিকা দেখিয়া একংষ্টে চাহিতে লাগিলেন। নারায়ণ কহিলেন “বরুণ! সম্মুখে উচ্চ জমির উপর ঐ মুন্দর বাড়ীট কাহার ?” বরুণ। এখানকার একজন কৰ্ণেলের। তিনি অনেক অর্থ ব্যয়ে এই বাড়ী নিৰ্ম্মাণ করেন । এমন সুন্দর স্থানে, এমন মুন্দর বাড়ী ভাগলপুরে আর দ্বিতীয় নাই। নিকটেই দেখ, একটা মধ্যম
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৪২১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।