ভাগলপুর ՀԵ-ծ সিথি কাটিবে এবং খাদ্যখিাদ্য বিষয়ে কাহারও বিচার থাকিবে না, সেই সময় জানিও তোমার একাধিপত্য বিস্তার হইয়াছে। এই ভাগলপুরের স্কুলের বালকগণকে দেখিয়া আমার বেশ বোধ হইতেছে যে, এক্ষণে কলির সম্পূর্ণ অধিকারকাল সমুপস্থিত। এই সময়ে একটী বালক উপ’র দিকে চাহিয়া অপর বালকের কাণে কাণে কি বলিয়া মুচকে হেসে চলিয়া যাইল। যাইবার সময় সে অপর একটী বালককে কহিল “আজ আমাদের বাড়ী যেও ভাই, লেমোনেড খাওয়াব।” অপর বালক কহিল “দূর কর, ও শাদা জিনিসে আর প্রাণ ঠাণ্ড হয় না, লাল রং আমদানী করবার উদ্যোগ কর।” ইন্দ্র । বরুণ ! বালকের কি বলে ? বরুণ। কপচাচ্চে! দেখুন পিতামহ । এখানকার যুবকগণের স্বভাব সাধারণতঃ মন্দ নহে। তৰে দুঃখের বিষয়, পাঠাবস্থায় অত্যন্ত বাবু হয়ে । পড়ায় লেখা পড়াটা প্রায়ই আমাদের উপর মত হয় । ব্ৰহ্মা উপ বড় সুবোধ ছেলে । এই সময়ে বালিকাগণকে প্রত্যাগমন করিতে দেখিয়৷ ব্ৰহ্ম বলিলেন “বরুণ ! এ মেয়েগুলি কোথায় গিয়েছিল ?” বরুণ। আঙ্কে, এরা বালিকা-বিদ্যালয়ের বালিকা। বিদ্যালয় হইতে প্রত্যাগমন করিতেছে। ব্ৰহ্মা। এখনও কি বালিকাগণকে পূৰ্ব্বের স্তায় বিদ্য শিক্ষা দেওয়া হয় ? বরুণ । বিদ্যা শিক্ষা দেওয়া হয়, তবে পূর্বের ন্যায় নহে। বালিকাদিগের বিবাহের বয়স দশ বৎসর ; অতএব ঐ সময়ের মধ্যে কতদূর বিদ্যা হইতে পারে বিবেচনা করিয়া লউন । ব্ৰহ্মা | স্ত্রীলোকদিগের অল্প বিদ্যা শিক্ষা দেওয়া মহাপাপ । তদপেক্ষী মুখ করিয়া রাখা শাস্ত্রসন্মত। স্ত্রীলোকের অল্প বিদ্যা শিক্ষা করিলে অশেষবিধ অনিষ্ট ঘটাইতে পারে।
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৪২৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।