২৮২ - দেবগণের মর্ত্যে আগমন ৰকুণ। অজ্ঞে, বর্তমান সময়ে স্ত্রীলোকেরা বিদ্যা শিক্ষা করিয়া জ্ঞানোপার্জন করিবে এ আশায় বিদ্যালয়ে দেওয়া হয় না । ব্ৰহ্মা । তবে কি কারণে বিদ্যালয়ে দেওয়া হয় ? বরুণ। একটু লেখা পড়া শিক্ষা না দিলে মেয়েগুলো পাছে খুবড়ো থাকে, এই আশঙ্কায়। এমন কাল পড়েছে—পাত্রের পিতা যেমন পাত্রীর পিতার সর্বস্ব গ্রহণ করেন, সেই সঙ্গে আবার পাত্রী লেখা পড়া জানেন কি না, সে বিষয়েও অনুসন্ধান লন। আজ কাল বিবাহের পূৰ্ব্বে পাত্র পাত্রী উভয়েই উভয়কে দেখিতে ইচ্ছা করেন। সময়ে সময়ে পাত্র আবার পাত্রীকে পরীক্ষা করেন—“বল দেখি, ব্লাক সি কোথায় ? “গবর্ণরজেনেরল এক্ষণে কলিকাতা কি সিমলায় আছেন ?” ইত্যাদি। আমি আশ্চৰ্য্য দেখিয়াছি— যিনি ২৪ খানি ইংরাজি পুস্তক পড়িয়া ১৫ টাকার কেরাণীগিরি কৰ্ম্ম করিতেছেন, তিনিও শিক্ষিতা স্ত্রী প্রার্থনা করেন। সময়ে সময়ে ঐ বিষয়ে লেক্চার দেন। কি আশ্চৰ্য্য ! যে নিজে অশিক্ষিত, তাহার আবার শিক্ষিত স্ত্রীর আশা করা কি ধৃষ্টতার কাজ নয় ? এই সব দেখিয়া শুনিয়া পিতা মাতা অগত্যা কন্যাকে বিদ্যালয়ে দেন । ব্ৰহ্মা। দেখ বরুণ! দেশে যেরূপ অকাল-মৃত্যুর প্রাচুর্ভাব, তাহাতে বোধ হয় অল্পবয়স্ক, অল্পশিক্ষিতা বিধবা স্ত্রীলোকের সংখ্যাই বেশী । অল্প শিক্ষার গুণে কুলে কালী দিয়া পিতা মাতাকে কাদাইতে পারে, ইহা কি তুমি বিশ্বাস কর না ? বরুণ। বিশ্বাস করা করি কি ? অনেক স্থলে ঐক্সপ ঘটনা ঘটিতেছে। এই সময় দেবগণ শুনিলেন—একটা গৃহমধ্যে কতকগুলি স্ত্রীলোক হো হে। শব্দে হাস্ত করিয়া কহিতেছেন—“ওমা ! কোথা যাব । মুকী বলে কি ? স্ন্যা—বলে এবার আমি দুর্গে অষ্টমীর বক্ত নেবো । ওম ছিঃ ছিঃ ! এখনও পাড়াগেয়ে স্বভাব যায় নি ? ব্রত ক’রে কি হবে ? —ওর চাইতে ঐ টাকায় ও কেন দান৷ গড়িয়ে গলায় দেকৃ না ।
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৪২৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।