পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৪২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨છ-8 দেবগণের মর্ত্যে আগমন এখান হইতে দেৰগণ ২১ জন বাঙ্গালীর সুন্দর সুন্দর বাড়ীঘর দেখিতে দেখিতে খঞ্জনপুরে বর্তমানের মহারাজের বাড়ীর দ্বারের নিকটে গিয়া উপস্থিত হইলেন। উপস্থিত হইয়া ইন্দ্ৰ কহিলেন, “বরুণ! এ বাড়ীট কাহার ? এমন সুন্দর বাড়ীতে লোক জনের সমাগম নাই কি কারণে ? বরুণ। এ বাড়ীটা বৰ্দ্ধমানের মহারাজের। লোকের মনে বিশ্বাস আছে এই বাড়ীতে ভূত বাস করে। কোন ব্যক্তি ইহাতে বাস করিলে ভূতের হাতে প্রাণ হারায় ( ১ ) । পিতামহ হাস্ত করিয়া কহিলেন, “রজনী আগতপ্রায়—আমরা আর কোথায় বাসার অনুসন্ধানে ফিরিব ? চল এই রাজবাটীতেই আশ্রয় লই।” এই কথায় সকলে সন্মত হইলে দেবতার সে রাত্রি সেই ভূতের বাড়ীতেই অবস্থিতি করিলেন। প্রাতে উঠিয়া সকলে গঙ্গাস্নানে চলিলেন। গঙ্গাতীরে উপস্থিত হইয়া দেখেন—একটা সুন্দর অট্টালিক বিরাজ করিতেছে। ইন্দ্র চাহিয়া চাহিয়া দেখিয়া কহিলেন, “বরুণ ! এ বাড়ীটা কাহার ?” বরুণ । জঞ্জেল নামক এক জন নীলকর সাহেবের বাড়ী ৷ জঞ্জেল ভাগলপুরের মধ্যে একজন বিখ্যাত জমীদার । ব্ৰহ্মা এই সময়ে জলে নামিয়া স্নান করিবার উদ্যোগ করিতেছিলেন, তাড়াতাড়ি তীরে উঠিয় দ্রুতপদে পলাইতে লাগিলেন। দেবগণ পশ্চাৎ পশ্চাৎ ছুটিয়া গিয়া কহিলেন, “পিতামহ। পলাচ্চেন কেন ?” ব্ৰহ্মা। আমি ভাই, নীলকর সাহেবদের বড় ভয় করি । জানি কি একে নীলকর—তাহাতে আবার জমীদার ; ধ’রে নিয়ে গিয়ে যদি নীল বুনিয়ে নেয়! বরুণ। না না—ইনি অতি সৎ ও ভদ্রলোক । যাহা হউক, যখন আপনার ভয় হইয়াছে, চলুন অন্ত ঘাটে স্নান করিয়া আসি । T (১) কয়েক বৎসর পূর্কের্য বৰ্দ্ধমানের মহারাজ মহাভাপচাদ বাহাদুর এই বাড়ীতে আসিয়া প্রাণত্যাগ করায় লোকের মনে ঐ কুসংস্কার আরও বদ্ধমুল হইয়াছে।