ভাগলপুর ᎦᏬbᏅ© . দেবগণ স্নান করিয়া আসিবার সময় দেখেন বৃহৎ বৃহৎ আকারের গরু সকল লইয়া রাখালেরা চরাইতে যাইতেছে। আমাদের অহিফেনপ্রিয় পিতামহ সেই সমস্ত হৃষ্টপুষ্ট পৰ্ব্বতাকার গাভীগুলিকে দেখিয়৷ একদৃষ্টি চাহিতে লাগিলেন। বরুণ তস্কৃষ্টে হাস্ত করিয়া কহিলেন, “ঠাকুরদা ! কি দেখছেন ?” ব্ৰহ্মা। এমন সুন্দর গরু ত কোথায়ও দেখি নাই! ভাল—এরা দুধ দেয় কত ক’রে ? বরুণ ৷ প্রায় ৮১০ সের। ব্ৰহ্মা। ফ্ল্যা বল কি ? বরুণ ! আমাকে একটা কিনে দেওনা । মঙ্গল বুড়া হওয়ায় আর ত তেমন দুধ দিতে পারে না, একটা ভাগলপুরে গাই স্বর্গে নিয়ে যাই । বরুণ। কিনে দিতে পারি—কিন্তু নিয়ে যাবেন কেমন ক’রে ? কলিকাতা পৰ্য্যস্ত সঙ্গে করে নিয়ে যাওয়া ত সহজ ব্যাপার নহে! যাহা হউক, আমি আপনাকে মন্ত এক সময়ে একটি গরু কিনিয়া দিয়া আসিব। দেবগণ বাসায় আসিয়া আহারাদি করিয়া ম্যাজিষ্ট্রেট, জজ এবং কমিশনরের আফিস দেখিয়া গবৰ্ণমেণ্ট বিদ্যালয়ের নিকট যাইয়া উপস্থিত হইলে বরুণ কহিলেন, “এই ভাগলপুর গবর্ণমেণ্ট বিদ্যালয় । এ গৃহটা আদালতসমূহের গৃহগুলি অপেক্ষ সুন্দর।” ইন্দ্র। বরুণ ! প্রত্যেক স্থানেই একটী না একটী বিদ্যালয় দেখিলাম, কিন্তু আমার আশঙ্কা হ’চ্চে—এই সব বালক, বিদ্যালয় পরিত্যাগ করিয়া কাজকৰ্ম্ম কোথায় পাবে ! বরুণ। ইহার মধ্যে তোমার আশঙ্কা হইল ? কলিকাতায় গিয়া দেখবে বিদ্যালয়ে বালকদিগের গাদি লেগেছে । ইহাদের জন্ত তোমার আশঙ্কা করিবার কোন প্রয়োজন নাই ; বিধাতা অধগুই একটা না একটা উপায় করিয়া দেবেন। অভাব পক্ষে এর ইংরাজী কথা ব’লতে ব’লতে ঘাস কেটে এনেও ক’রে খেতে পারবে ।
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৪২৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।