২৮৬ | দেবগণের মর্ত্যে আগমন কিছু দুরে যাইয়া তাহারা দেখেন—একটা গ্রাম প্রাচীর দ্বারা বেষ্টন করা রহিয়াছে। নারায়ণ কহিলেন “বরুণ! সম্মুখে দেখা যাচ্চে, ঐ প্রাচীরবেষ্টিত স্থানটা কি ?” বরুণ। ভাগলপুরের সেন্টাল জেল। ইহা একট প্রকাও অট্টালিকা । জেলখানার মধ্যে প্রায় এক শত বিঘা জমি আছে। জেলের মধ্যে অনেক কয়েদী খাটিতেছে এবং তাঁহাদের দ্বারা কলে কম্বল প্রস্তুত হইতেছে। এই সময় দেবগণ দেখেন— দূরে অনেকগুলি লোক একত্র হইয়া গোলযোগ করিতেছে । তাহারা গোলযোগের কারণ অনুসন্ধানে যাইয়া দেখেন, একটা কুৎসিত যুবার সহিত একট পরম সুন্দরী স্ত্রীলোক দাড়াইয়া আছে। যুবতীর সর্বাঙ্গে স্বর্ণাভরণ, গাত্রের রং বস্ত্রমধ্য দিয়া ফুটিয়া বাহির হইতেছে। দেখিলে বোধ হয় সুন্দরী কোন উচ্চবংশসস্তুত। কারণ লোকের জনতায় লজ্জায় মুখ হেঁট করিয়া দাড়াইয়া আছে। পুলিস ইনেস্পেক্টর বারংবার জিজ্ঞাসা করিতেছে—“তুমি কে ? - এই দুষ্টই বা কে ? ইহার চেহারাতে ইহাকে ভ তোমার স্বামী বলিয়া বোধ হইতেছে না। এ ভণ্ড কি তোমায় প্রাণে নষ্ট করিয়া ঐ গাত্রাভরণগুলি অপহরণ করিবার মানসে প্রতারণা করিয়া গৃহের বাহির করিয়া আনিয়াছে ? বল—সমস্ত বিষয় খুলিয়া বল, তদনুসারে দুষ্টের দমন করি এবং তোমাকে তোমার স্বামীর গৃহে পাঠাইয়া দিই।” যুবতী তখন কহিতে লাগিল—“হুগলি জেলার কোন গ্রামে আমার শ্বশুরালয় । আমার স্বামী বেশ একজন সঙ্গতিশালী ও বিখ্যাত জমীদার। তিনি আমাকে বিবাহ করিয়া আনিয়া কথন সুদৃষ্টিতে দেখেন নাই। কখন মিষ্ট কথা বলেন নাই কিংবা অাদর যত্ন করেন নাই। এমন কি, দিনাস্তে একবার কাছেও আসিতেন না । বরং সময়ে সময়ে অকারণে তিরস্কার ও প্রহার করিতেন। আমি পূৰ্ব্বজন্মের পাপে এরূপ ঘটিতেছে ভাবিয়া মনকে প্রবোধ দিতাম এবং দিন রাত কেঁদে কেঁদে দিন কাটাইতাম। এক সময়
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৪৩০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।