পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৪৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাগলপুর २४-१* আমার অত্যন্ত পীড়া হইল—বাচিবার কোন আশা রহিল না। মনে মনে, ভাবিলাম—আহা ! যমের কৃপায় এইবার আমি সুখী হইব,—সকল জ্বালা যন্ত্রণার হাত এড়াইব । কিন্তু যম এ হতভাগিনী, এ চিরদুঃখিনীকে নিলেন না। আমি ক্রমে ক্রমে ভাল হয়ে উঠলাম। পথ্য ক’রে বসে আছি, এমন সময় দেখি একটা ক’নে বেী গৃহের বাহিরে খেলা করিতেছে। বিকে জিজ্ঞাসা করিলাম “ঝি, ও বেটী কে ?” ঝি কহিল “ম ঠাকৃরুণ । উনি যে তোমার সতীন । যখন ডাক্তারের তোমায় দেখে বলেন, এ যাত্রা রক্ষা পাইবে না, তখন বাবু হাসিতে হাসিতে বাট থেকে গিয়ে উহাকে বে ক’রে এনেছেন।” এই কথায় মনে বড় দুঃখ হ’ল—ভাবলাম আত্মহত্যা করি । আবার ভাবলাম—আত্মহত্যা মহাপাপ, যদি পাপই করতে হয়, বাটী হ’তে পলাই, কুলে কলঙ্ক রটুক। লোকে বলুক—অমুক বাবুর স্ত্রী ভাগলপুরে ঘর ভাড়া ক’রে রয়েছে। এইরূপ স্থির করে পালিয়ে এসেছি।” পুলিস ও দর্শকবর্গ এই কথা শুনিয়া চলিয় গেল। দর্শকদিগের মধ্যে একজন কহিল “মাগী উপযুক্ত শিক্ষা দিয়েছে।” আর একজন কহিল “আমার ওরূপ হ’লে দুজনকেই কেটে ফাঁসি যেতাম।” একজন যুব দর্শক অপর যুবাকে কহিল “গোমস্ত বেটার কপাল ভাল ! মেয়ে মানুষটা নানালঙ্কারভূষিত ” দেবগণ চাহিয়া দেখেন–পিতামহ নিকটে নাই। অনুসন্ধান করিতে করিতে দেবতারা তাহাকে একটা বটবৃক্ষের তলে প্রাপ্ত হইলেন। তখন তিনি নয়ন মুদ্রিত করিয়া দুর্গানাম জপ করিতেছিলেন। নারায়ণ ডাকিলেন, “পিতামহ । পিতামহ ! উঠুন।” ব্ৰহ্মা নয়ন উন্মীলন করিয়া কহিলেন “বরুণ। ও কি দেখিলাম ?” বরুণ। আপনার স্বল্প বিশ্বরাজ্যরূপ রঙ্গভূমিতে দম্পতি ব্যবহার প্রহসনের অভিনয় । এখান হইতে দেবগণ জেলখানার উত্তরাংশে যাইয়া উপস্থিত হইলে বরুণ কহিলেন “এই স্থানে গঙ্গাতীরে দুটি অদ্ভুত মুড়ঙ্গ আছে।” দেবরাজ