পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৪৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৮৮ : দেবগণের মর্ত্যে আগমন সুড়ঙ্গ দেখিবার ইচ্ছা প্রকাশ করিলে বরুণ সকলকে লইয়া দেখাইতে চলিলেন। সকলে উকি মারিয়া দেখিয়৷ অত্যন্ত বিস্মিত হইলেন। নাৰায়ণ কহিলেন “বরুণ ! এই সুড়ঙ্গমধ্য দিয়া গৃহাদির ভগ্নাবশেষ দেখা ধাইতেছে— উহ! কি ?” বরুণ। অনেকে ইহাকে মুনিকোটর কহে। তাহার কহে—পূৰ্ব্বকালে কোন মুনি এই স্থানে বসিয়া তপস্তা করিতেন। আধার কতকগুলি -লোকে কহে—ইহা দস্থ্যদিগের বাসগৃহ । ফলতঃ এখানে দস্থ থাকিবার কোন সম্ভাবনা নাই, মুনিকোটর হওয়াই সম্ভব। কিছুদিন হুইল এখানকার ভূতপূৰ্ব্ব জজ সাণ্ডিস্ সাহেব ঐ গহবরদ্বয়ের উপরিভাগ ইষ্টক দিয়া বাধাইয়৷ দিয়াছেন। অনেকে এই গহবর আগ্রহ সহকারে দেখিয়া থাকেন । এখান হইতে সকলে একটী বাজারে গিয়া তসর নিৰ্ম্মিত খেস ও বাপ্তা নিজের নিজের জন্ত এবং আত্মীয়স্বজনের জন্ত খরিদ করিয়া লইলেন। তৎপরে সকলে ষ্টেশনে যাইয়া দেখেন টিকিট দিবার বিলম্ব আছে ; অতএব পরস্পরে গল্প আরম্ভ করিলেন। ব্ৰহ্মা কহিলেন, “বরুণ ! ভাগলপুরের অপরাপর বিষয় সংক্ষেপে বল ॥* বরুণ। ভাগলপুর অতি প্রাচীন সহর । নগরটা ভগীরথীতীরে অনেকদুর পর্য্যন্ত বিস্তৃত। এখানে অনেকগুলি পল্লী ও বাজার আছে ; হিন্দু মুসলমান উভয় জাতিই এখানে বাস করে, তন্মধ্যে হিন্দুর ভাগই -বেশী। সাধারণতঃ এখানকার লোকেরা অত্যন্ত অজ্ঞ, বদমায়েস এবং কুসংস্কারাপন্ন। একটা চলিত কথা আছে—“ভাগলপুরক ভাগলিয়া, কাহাল গাওকা ঠগ, ঔর পাটনাকে দেউলিয়, তিন মুলুক্কা ও দ ” চম্পাইনগর ভাগলপুরের পশ্চিমাংশের শেষ সীমা। ঐ স্থানে চাঁদের প্রতিষ্ঠিত বহুকালের একটা শিবলিঙ্গ আছে। কিন্তু তাহার পুজার কোন বন্দোবস্ত -নাই। এখানকার কেল্লায় প্রায় ৯০০ শত আন্দাজ হিন্দু সপাই আছে