ভাগলপুর । ২৮৯ (১) এখানে অনেকগুলি বাঙ্গালী বিষয়-কৰ্ম্ম উপলক্ষে বাস করেন র্তাহাদের সাধারণ উন্নতিকার্য্যে কিছুমাত্ৰ মনোযোগ নাই। সকলেই আপন আপন স্বার্থ লইয়া ব্যতিব্যস্ত । কিসে বড় হইব, স্ত্রীকে অলঙ্কারে ভূষিত করিব—অনেকের প্রধান সঙ্কল্প এই । নাচ তামাসায় অনেকে অনেক অর্থ ব্যয় করেন, কিন্তু দীন দুঃখী:অনাথদিগকে এক মুষ্টি ভিক্ষা দিবার সময় জগন্নাথ হন। এখানকার ২১ট উকিল সাহেবী ধরণে বেড়াইতে ভাল বাসেন । এই সময় টিকিট দিবার ঘণ্টা দেওয়ায় দেবতারা নলহাটির টিকিট লইয়া ট্রেণে উঠিলেন। ট্রেণ “হুপান্থপ” শব্দে ঘোগ অতিক্রম করিয়া কাহালগ। ষ্টেশনে আসিয়া উপস্থিত হইল । n ইন্দ্র। বরুণ ! এ ষ্টেশনটার নাম কি ? বরুণ। এস্থানের নাম কাহালগ। মহাবীর ভীমসেন ভীম-একাদশীর উপবাসের পর এই স্থানে প্লারণ করিয়াছিলেন। তিনটা সুন্দর সুন্দর পাহাড় উনানের বিকের ভাবে থাকায়, লোকে বলে—উতারই উপর তাহার রন্ধনাদি হইয়াছিল। আবার ট্রেণ ছাড়িল । ট্রেণ “হপাছপ’ শব্দে পীরপৈতি ষ্টেশনে আসিয়া উপস্থিত হইলে নারায়ণ কহিলেন “বরু৭' এ স্থানের নাম কি ?” বরুণ । এ স্থানের নাম পীরপৈতি। এখানে বুদ্ধদেবের মন্দির ইত্যাদি আছে। মুসলমানদিগের একজন সন্ন্যাসীকে এই স্থানে কবর দেওয়া হয় । র্তাহার নাম অনুসারেই স্থানের নাম পীরপৈতি হইয়াছে । ঐ কবরটা অদ্যপি বর্তমান আছে । এখানকার পাণ বড় বিখ্যাত । (১) কেল্লায় গত বৎসর পর্যন্ত ৯•• শত হিন্দুস্থানী সিপাহি ছিল। কিন্তু ত্র্যহম্পর্শের দিন তাহার কাবুলে যাওয়ায় অদ্যাপি আসে নাই। এক্ষণে এখানে আর সৈন্ত থাকে র। গবর্ণমেন্ট ব্যয় সংক্ষেপ করিবার মানসে কেল্লাটা উঠাইরা দিয়াছেন। এক্ষণে রিজাস্ত পুলিসের এক শত আন্দাজ সিপাহি বাস করিতেছে । : > ఫి
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৪৩৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।