পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৪৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাগলপুর ২৯১ এদিকে ট্রেণ ছুটিতে ছুটিতে আলিয়া সাহেবগঞ্জে উপস্থিত হইল। আমি এক জন বড় চাপরাসী হাকিতে লাগিল—”সাহেবগঞ্জ” “সাহেবগঞ্জ” “এ পুর্ণিয়, কারাগোলা, দারজিলিং যানেওয়াল, উতারো।” “সাহেবগঞ্জ” *সাহেবগঞ্জ ।” - ইন্দ্র। বাঃ এ ষ্ট্রেশনট বড় সুন্দর ! এস্থানের নাম কি ? বরুণ। এ স্থানের নান সাহেবগঞ্জ । এখানে রেলওয়ে কোম্পানীর ডিষ্ট্রক্ট আফিস আছে। বিংশতি বৎসর পূৰ্ব্বে এ স্থান বন জঙ্গলে পরিপূর্ণ ছিল। রেলওয়ে হওয়ার পর হইতে দিন দিন ইহার শ্ৰীবৃদ্ধি হইতেছে। এখানকার রাস্তাঘাট বেশ পরিষ্কার ও প্রশস্ত। ষ্টেশনের বাহিরেই ইংরাজ মহল । ইংরাজ মহলে রেলওয়ে গার্ডের বাস করিয়া থাকে। ইংরাজ মহলট দেখিতে বড় সুন্দর । এই সাহেবগঞ্জের পাশ্বে ই বিখ্যাত সিক্রিগলি । সিক্রিগলিতে হুমায়ূনের সহিত সের সার একটা যুদ্ধ হইয়াছিল। ঐ স্থানের কেল্লার ভগ্নাবশেষ অদ্যপি দেখিতে পাওয়া যায়। সাহেবগঞ্জে অনেকগুলি বাঙ্গালী বাস করেন। তাহাদের স্বভাব সাধারণতঃ বড় মন্দ নহে । অনেক বাঙ্গালী বেগুণও এখানে আছে। অশুভক্ষণে চৌদ্ধ আইন জারি হওয়ায় কলিকাতার যত বেশু। পলাইয়া আসিয়া চারিদিকে বিরাজ করিতেছে । সাহেবগঞ্জে অনেকগুলি মাড়োয়ারির বাস । তাহাদের উপাস্ত দেবতা কৃষ্ণজীর একটা মন্দির আছে। তদ্ভিন্ন মহাবীর হনুমানেরও ২১টী ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মন্দির দেখিতে পাওয়া যায়। এখানে রেলওয়ে কোম্পানীর একটা হাসপাতাল ও একটা ডাক্তার আছেন । ব্ৰহ্মা। বরুণ সাহেবগঞ্জে ত অনেকক্ষণ গাড়ী থাকে। বরুণ । এস্থানে সাহেবের খান খেয়ে নেয় । সাহেবগঞ্জের পর পারে কারাগোলা। কারাগোলা দিয়া পূর্ণিয়া ও দারূজিলিং যাইতে হয় । সাহেবগঞ্জের ঘাটে ষ্টিমারে উঠিয়া দুই ঘণ্টায় কারাগোলায় পৌছান যায়। পরে তথা হইতে গরুর গাড়ীর ডাকে পূর্ণিয় এবং দারূজিলিং যাইতে হয়।