পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৪৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৯২ দেবগণের মর্ত্যে আগমন এই সময় “সাৎ" শস্বে একটা হেঁচক টান মারিয়া ট্রেণ হুপান্থপ শবে ছুটিতে ছুটতে মহারাজপুর অতিক্রম করিয়া তিন পাহাড়ে আসিয়া উপস্থিত হইল। অগ্নি চীৎকার শব্দে এক ব্যক্তি হাকিতে লাগিল—“তিন পাহাড়” “তিন পাহাড়” “এ রাজমহল যানেওয়াল উতারো” “তিন পাহাড়” “রাজমহল ।” ব্ৰহ্মা । বরুণ ! এ ষ্টেশনের নাম কি ? বরুণ । এস্থানের নাম তিনপাহাড় । তিনপাহাড় হইতে ব্রাঞ্চ রেলে রাজমহল যাওয়া যায়। বাঙ্গালাদেশে মোগলরাজত্ব-সময়ে রাজমহল অতি সমৃদ্ধিশালী নগর ছিল। আকবর বাদসাহের প্রধান সেনাপতি মানসিংহ এই নগর নিৰ্ম্মাণ করেন এবং মুজার সময় ইহার সৌন্দৰ্য্য বৃদ্ধি হয় । এক সময় রাজমহল আয়তনে ও সৌন্দর্য্যে দিল্লীর সমকক্ষ হইয়া উঠিয়াছিল। মুসলমানের আকবর বাদসাহের সন্মানার্থ ঐ নগরকে আকবর নগর কহিত । এই রাজমহলেই ১৫৭৬ খৃষ্টাব্দে বাঙ্গালার শেষ রাজা আকবরের সৈন্ত কর্তৃক পরাভূত ও নিহত হন। রাজমহলের উত্তর পশ্চিমে যে স্থলে রাজমহল পাহাড় গঙ্গার তীরস্থ হইয়াছে, ঐ স্থানে তেলিয়াগড়ী নামক প্রসিদ্ধ দুর্গ ছিল। এই দুর্গটকে লোকে বাঙ্গালার দ্বারস্বরূপ জ্ঞান করিত। রাজমহলের পাহাড়ে পাহাড়িয়া নামক এক আদিম জাতি বাস করে । অদ্যাপি রাজমহলে অনেক বাড়ী ও মসজিদের ধ্বংসাবশেষ দেখিতে পাওয়া যায়। রেলের রাস্তা প্রস্তুত হইবার সময় অনেক পুরাতন গৃহাদি নষ্ট হইয়া গিয়াছে। নবাব সিরাজদ্দৌলা পলাশীর সংগ্রামে পরাজিত হইয়া পাটনায় পলায়নকালে এই স্থানে উপস্থিত হইলে এক ফকির তাহাকে ধৃত করিয়া দেয় । ইন্দ্র। রাজমহলে যাইলে হয় না ? বরুণ। রাজমহলে দেখিবার যোগ্য কিছুই নাই। ঐ স্থানে এসিষ্টান্ট কমিশনরের কাছারি, সামান্ত একটা হাসপাতাল ও জেল আছে। সিংহ