মুরশিদাবাদ ২৯৭ দিলেন। দেবরাজও মহিষীর জন্ত ও পুত্রবধুর জন্ত কয়েকখানি লইলেন। পিতামহও একখানি কিনিলেন। । - ইন্দ্র । ঠাকুর দা, ওখানি ঠানদিদিকে পরাবেন ? ব্ৰহ্মা ! না ভাই ; ভাবচি–সুরধুনী যে দিন স্বর্গে যাবেন, তাকে এই চেলিথানি পরিয়ে বরণ করে ঘরে তুলবো । বস্ত্রাদি খরিদ হইলে সকলে একখানি গাড়ী ভাড়া করিয়া মুরশিদাবাদ অভিমুখে চলিলেন। যাইতে যাইতে ইন্দ্ৰ কহিলেন “বরুণ, সম্মুখে ও সুন্দর ট্রীট কাহার ?” - বরুণ । উহা লছমীপৎ সিং নামক এক ধনাঢ্য ব্যক্তির বাড়ী । রের মধ্যে ইহঁরি ২১টা দেবালয় ও বিদ্যালয় আছে। বিদ্যালয়ে বিনা বতনে দুঃখী বালকদিগকে বিদ্যা দান করা হইয়া থাকে। এখান হইতে কিছুদূরে যাইলে ইন্দ্র কছিলেন “বরুণ, এমন সহর ত’ দেখি নাই । ইহার বাজার, হাট, অট্টালিকাদি গণিয়া সংখ্যা করা যাইতেছে মা। ভাল—সম্মুথে যে প্রকাও সেকেলে ধরণের বাড়ীট দেখা যাচ্চে এ বাট কাহার ? এবং এস্থানের নাম কি ?” বরুণ। এ স্থানের নাম মহিমাপুর । যে বাড়ীটা দেখিতেছ, উহা মুরশিদাবাদের শেঠেদের। এক সময় শেঠেরাই এদেশের মধ্যে প্রধান ধনী ছিল । এই বংশীয় জগৎশেঠ কথায় কথায় লক্ষ লক্ষ মুদ্র প্রদান করিতে পারিতেন। ইন্দ্র । জগৎশেঠ কে ? Fr বরুণ। ভারতের মধ্যে ইনিই সৰ্ব্বপ্রধান বণিক্ ছিলেন। নবাক । সিরাজউদৌলাকে সিংহাসনচু্যত করিবার যে ষড়যন্ত্র হয়, মহাত্মা জগৎশেঠই তাহার প্রধান উদ্যোগী। এই ষড়যন্ত্রের গুণে সুবিস্তৃত ভারত সাম্রাজ্য ইংরাজ-হস্তে অৰ্পিত হইয়াছিল। পরিশেষে ইংরাজ-বন্ধু জগৎশেঠকে নবাব মিয়াকাশিম মুঙ্গেরের গঙ্গায় জলমগ্ন করিয়া হত্যা করেন। অদ্যাপি
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৪৪৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।