ఇసెb দেবগণের মর্ত্যে আগমন তাহার বংশাবলীরা এই বাড়ীতে বাস করিতেছেন। বিষয়-বিভব আর তাদৃশ নাই। " ক্রমে দেবগণের গাড়ী নসীপুরের রাজবাটীর নিকট দিয়া নবাবের চকের মধ্যে প্রবেশ করিল। স্থানটীর সৌন্দৰ্য্য দর্শনে মুগ্ধ হইয়া পিতামহ কহিলেন “বরুণ ! এ নগর নিৰ্ম্মাণ করে কে ?” বরুণ। অনেকে বলে—আকবর বাদদা এই নগর নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন । কিন্তু আইনি-আকবরি নামক মুসলমান গ্রন্থে তাহার কোন উল্লেখ নাই ; ফলতঃ ১৭০৪ খ্ৰীঃ অব্দে মুরশিদকুলি খী নামক একজন নবাব এই নগর নিৰ্ম্মাণ করিয়া আপনার নামানুসারে ইহার নাম মুরশিদাবাদ রাখেন । এই সময়ে তাহাদের গাড়ী নবাবের নুতন বাড়ীর নিকট গিয়া থামিল । তাহারা গাড়ী হইতে নামিয়া সবিস্ময়ে উপর দিকে চাহিতে লাগিলেন । তাহাদের চাউনি দেখিয়া যেন প্রাসাদোপরিস্থ নীল, লাল, কাল বর্ণের পতাকা সৰল বায়ুভরে চটচট্ চটচট্ শব্দ করিতে আরম্ভ করিল। বরুণ । দেখুন পিতামহ ! এই বাড়ীটী দীৰ্ঘে ৪২৫ ফিট, প্রস্থে ২০০ শত ফিট এবং উচ্চে প্রায় ৪০ ফিট হইবে । ইহা নিৰ্ম্মাণ করিতে বিশলক্ষ টাকা ব্যয় হইয়াছিল। বাড়ীর প্রত্যেক গৃহ নানাপ্রকার দ্রব্যসামগ্রী দ্বারা সুসজ্জিত করা আছে। মধ্যস্থলে ঐ যে একট গম্বুজের আকৃতি দেখিতেছেন, ঐ স্থানে ১৫০ ডালের একটা অতি উৎকৃষ্ট ঝাড় ঝুলান আছে। ঝাড়ট মহারাণী ভারতেশ্বরী নবাবকে উপঢৌকন দিয়াছিলেন। ঐ বাড়ীতে হাতীর দাতের কারুকার্য্য করা একখানি নবাবের সিংহাসন আছে। ইন্দ্র । নবাবের অন্দর মহল কি এই বাড়ীর মধ্যে ? বরুণ। না, ঐ যে দুরে জেলখানার স্তায় বহুদূর বিস্তৃত প্রাচীর দেখিতেছ, ঐ নবাবের অন্দর মহল। অন্দর মহলের প্রথম প্রবেশদ্বারে যমদূতাকৃতি খোজার পাহার দেয়। তৎপরে ভিতর দ্বারে ভৈরবী-আকৃতি
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৪৪৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।