পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৪৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুরশিদাবাদ, \ම් ෆ A ইহার পর দেবতারা গঙ্গাতীরে যাইয়া দেখেন-জলে অনেকগুলি ছিপ ভাউলে, পান্সি ইত্যাদি নবাবের নৌকা সকল ভাসিতেছে। ব্ৰহ্মা । বরুণ ! পরপরে দেখা যাচ্ছে—ওসব কি ? “ঐ স্থানে কয়েকটি কবর ও কুসারবাগ নামক একটি বাগান আছে।” বলিয়া বরুণ র্তাহাদিগকে খেয়ায় পার করিয়া কুলারবাগ দেখাইতে চলিলেন, এবং তথায় উপস্থিত হইয়া কহিলেন “পিতামহ ! নবাব আলিবন্ধী খাঁর কবর দেখুন ” ব্ৰহ্মা। এ নবাব কেমন ছিলেন ? বরুণ । ইনি অসাধারণ বীর, কাৰ্য্যকুশল ও বিচক্ষণ ছিলেন। আবশুকমত সময়ে সময়ে কপটতাচরণ করিতেও সঙ্কুচিত হইতেন না। ইহঁার পুত্র-সন্তান ছিল না, তিনটী মাত্র কন্ত ছিল । তন্মধ্যে কনিষ্ঠ জামাতা জৈনদীনের পুত্র সিরাজউদৌলাকে দত্তক পুত্র-রূপে গ্রহণ করেন। . নারদ। বরুণ। নবাব আলিবর্দী খাঁর কবরের সন্নিকটে শ্বেত পাথরে নিৰ্ম্মিত ঐ যে বৃহদাকার কবর দেখা যাচ্ছে, উহা কাহার ? বরুণ। ঐ কবরে নবাব সিরাজউদৌল চিরনিদ্রায় অভিভূত আছেন। ইন্দ্র। ইনি কেমন নবাব ছিলেন ? বরুণ। ইনি অত্যন্ত নিষ্ঠুরপ্রকৃতি ছিলেন ; জগতে যত প্রকার নিষ্ঠুর কাৰ্য্য আছে, তাহা তিনি করিয়াছেন।* ইহার পর তাহার কলেজ ও আদালত সকল দেখিয়া এক স্থানে উপস্থিত হইয়া দেখেন—একট বাবু অপর একট বাবুর সহিত গল্প করিতে করিতে আসিতেছেন, বাৰুটী কহিতেছেন, “সংস্কৃত ভাষার মত ভাষা আর দ্বিতীয় নাই। ইহার এক একখানি গ্রন্থে এত মধুর রস ও মধুর ভাব যে, শত শত বার পাঠ করিয়াও তৃপ্তি লাভ হয় না।” ইহার পর দেবগণ খাগড়ার ঘাটে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। র্তাহার * এ সম্বন্ধে এক্ষণে ভিন্ন মত দৃষ্ট হইয়া থাকে।—সম্পাদক ।