মুরশিদাবাদ లect বরুণ। ইহঁার নাম রামদাস সেন। ইনি বহরমপুরের একজন জমিদার , ইনি সৰ্ব্বক্ষণ সংস্কৃত শাস্ত্রের আলোচনা করিতেই ভালবাসেন। ঐ বিষয়েই অনুরক্ত আছেন, তজ্জন্তই ইহঁার মুখে সংস্কৃত শাস্ত্রের প্রশংসা শুনিলেন। ব্ৰহ্মা। এই মহাপুরুষের বিষয় আমাকে সংক্ষেপে বল । বরুণ। ইনি দেওয়ান কৃষ্ণকান্ত সেন মহাশয়ের পৌত্র এবং লালমোহন সেন মহাশয়ের পুত্র। ১৭৬৭ শকে বহরমপুরে ইহঁার জন্ম হয় । ইনি এই স্থানের কলেজেই বিদ্যাভাস করিয়াছিলেন । বাল্যকাল হইতেই ইনি সংবাদপত্রে পদ্য ও গদ্য প্রবন্ধাদি লিখিতে আরম্ভ করেন । ঐ সমস্ত প্রবন্ধ পরে পুস্তকাকারে প্রচারিত হয়। “বঙ্গদর্শন” নামক একখানি মাসিক পত্র প্রচার হইতে আরম্ভ হইলে ইনি সেই পত্রে ভারতবর্ষের প্রাচীন ইতিবৃত্ত, শিল্প, বিজ্ঞান ও ধৰ্ম্মঘটত প্রবন্ধাদি লিখিতে আরম্ভ করেন। তৎপরে “ঐতিহাসিক রহস্য” নাম দিয়া ঐ সমস্ত প্রবন্ধ পুস্তকাকারে প্রকাশ করিয়াছেন। ইহঁার “ঐতিহাসিক” গ্রন্থ ভারতবর্ষ, ইউরোপ, আমেরিক প্রভৃতি স্থানে আদর প্রাপ্ত হইয়াছে। ইনি ভারতবর্ষের বহু প্রাচীন বৃত্তাস্ত অনেক ছন্দ্রাপ্য সংস্কৃত ও পালি গ্রন্থ এবং তাম্রশাসনাদি হইতে অনেক কষ্টে সংগ্ৰহ করিয়াছেন । ইনি বহরমপুরের অনারেরি ম্যাজিষ্ট্রেট এবং মিউনিসিপাল, রোডসেন্স, বিদ্যালয় প্রভৃতির কমিটীর এবং চিকিৎসালয়ের সভ্য। এতদ্ব্যতীত কলিকাতা ও লণ্ডন প্রভৃতি স্থানের অনেক সভার সভ্যপদে নিযুক্ত আছেন। ইনি ভট্ট মোক্ষমূলার, বুলার প্রভৃতি ভাষাতত্ত্বজ্ঞ পণ্ডিতদিগের নিকট পত্র লিখিয়া প্রাচীন ভারত সম্বন্ধে মতামত আনিয়া থাকেন । * এখান হইতে কিছুদুরে যাইলে একখানি চাকার উপর আরোহণ করিয়া অতি দ্রুতবেগে এক ব্যক্তি দেবগণের কাণের কাছে ভে শব্দ করিয়া চলিয়া যাইলে তাহারা পরস্পরে বলাবলি করিতে লাগিলেন—এই
- বাঙ্গালা ১২৯৬ সালে ইহঁর মৃত্যু হইয়াছে।