পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৪৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

రింు দেবগণের মর্ত্যে আগমন কলই সৰ্ব্বাপেক্ষ উৎকৃষ্ট। দান চাই না, ঘাস চাই না, কোম্যান চাই ন, অথচ পৃষ্ঠে বহন করিয়া লইয়া যাইতে পারে। , ব্ৰহ্মা। আচমূকা যাচ্চি, এমন সময় চাকাখানা আমার কাণের কাছ দিয়া “ভো” শব্দে ছুটে যাওয়াতে বুকুটা ছপ, দুপ করেচে। কত রকম কলই করেছে, য়্যা! - তাহারা নগরের শোভা দৰ্শন করিতে করিতে এক স্থানে একটা প্রাসাদতুল্য অট্টালিকার সম্মুখে উপস্থিত হইলেন। ব্ৰহ্মা। বরুণ ! এ বাড়ীটি কি কোন নবাব ওমরাহের ? বরুণ । আজ্ঞে, এস্থানের নাম কাসিমবাজার। মহারাণী স্বর্ণময়ী নামে এক বিধবা রমণী এই বাড়ীর অধীশ্বরী *। স্বর্ণময়ী সংস্কৃত, বাঙ্গালা, পারসী, আরবী কোন ভাষায় সুশিক্ষিত নহেন। কিন্তু তিনি এমন বিষয়ের শিক্ষা লাভ করিয়াছেন যে, দুঃখী ব্যক্তির দুঃখ দেখিলে কাদিয়া ফেলেন। ক্ষুধাৰ্ত্ত ব্যক্তির ক্ষুধা দেখিলে অস্থির হন। বস্ত্রহীনকে বস্ত্র প্রদান—গৃহহীনকে গৃহ প্রদান—ইহার স্বভাবসিদ্ধ ধৰ্ম্ম । ইহার কৃপা সকলের উপরেই সমান। ইনি দুঃখী বালককে পাঠের খরচ প্রদান করেন। গ্রন্থকারকে অর্থ সাহায্য করিয়া গ্রন্থ প্রচারে উৎসাহ দেন । নিরাশ্রয় রোগী ব্যক্তিকে আশ্রয় দিয়া চিকিৎসা করান। ইনি নিজচক্ষে সাধারণ লোককে নিজের পরিবারের স্কায় দেখেন। কোন দিন মহারাণীর কোন না কোন সৎকাৰ্য্য না দেখিয়া স্বৰ্য্যদেব অস্তগামী হন না । ইনি রমণীরত্ব । বঙ্গদেশ ইহঁাকে বক্ষে ধারণ করিয়া ধন্ত এবং বাঙ্গালীরাও ইহাকে প্রাপ্ত হইয়া ধন্ত হইয়াছেন। রাণী অতুল ঐশ্বৰ্য্যের অধিকারিণী হইয়াও সুখী নহেন । বিধাতা আজীবন ইহঁাকে বোধ হয় রোদন করিবার জন্তই স্বষ্টি করিয়াছেন । শোক তাপ অসহ হওয়াতে পরিশেষে

  • এক্ষণে ইহা মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র নদীর –সম্পাদক ।