মুরশিদাবাদ ❖eፃ রাষ্ট্ৰী ঈশ্বরের উপাসনা ও সৎকার্য্যে দান ধ্যানে অনুরক্ত থাকিয় কষ্ট্রে দিন যাপন করিতেছেন। দেবগণ এই কথা শ্রবণ করিয়া সেই স্থানে বসিলেন। পিতামহ একবার বাড়ীখানির প্রতি দৃষ্টিক্ষেপ করিয়া কহিলেন “বরুণ মহারাণীর জীবনবৃত্তান্ত আমাকে সংক্ষেপে বল।” বরুণ। মহারাণী স্বর্ণময়ী বাঙ্গালা ১২৩৪ সালে বদ্ধমান জেলার অন্তর্গত ভাটাকুল নামক পল্লীগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১২৪৫ সালের বৈশাখ মাসে রাজা কৃষ্ণনাথের সহিত ইহঁার বিবাহ হয় । ইংরাজী ১৮৪৪ সালের অক্টোবর মাসে রাজা নিজ হস্তে গুলি করিয়া আত্মহত্যা করেন। মৃত্যুকালে তিনি সমস্ত বিষয় ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীর নামে উইল করিয়া যান, এজন্ত রাণীকে মুপ্রিমকোর্টে ঐ কোম্পানীর নামে অভিযোগ করিতে হইয়াছিল। বিচারে স্থিরীকৃত হয়, রাজা যে সময় উইল করেন, তখন র্তাহার মতের স্থিরতা ছিল না ; অতএব উইল নামঞ্জুর । এই জয়লাভ করিয়া রাণী অতুল ঐশ্বৰ্য্যের উত্তরাধিকারিণী হইলেন। ইহঁর লক্ষ্মী ও সরস্বতী নামে দুই কন্যা ভিন্ন আর পুত্রসন্তান জন্মে নাই। রাজাও মৃত্যুকালে পোষ্যপুত্ৰ লইবার কোন উইল করিয়া যান নাই। রাণীর দুই কস্তা লক্ষ্মী ও সরস্বতী মাতাকে কাদাইয়া পলাইয়াছেন। কিন্তু মুশীল রাণী সমস্ত শোক পরিত্যাগ করিয়া দান ধ্যানে রত হইয়াছেন। কিন্তু অর্থ সাধারণের উপকারার্থ ব্যয় করিতেছেন। বঙ্গদেশে কেহই ইহঁর মত দানশীল নাই। রাণী ১৮৪৭ অব্দে যখন বিষয় প্রাপ্ত হন, তখন অনেক টাকা ঋণ ছিল ; কিন্তু সুদক্ষ দেওয়ানের তত্ত্বাবধানে অচিরাৎ সমস্ত ঋণ পরিশোধ হইয়া বিষয় বৃদ্ধি হইয়াছে। রাণীর নিকট জাতি কিংবা বর্ণভেদ নাই । ইনি সকলকেই সমান চক্ষে দেখেন । ইহার দান দর্শনে সস্তুষ্ট হইয় গবর্ণমেণ্ট ১৮৭১ অব্দের আগষ্ট মাসে মহারাণী উপাধি প্রদান করেন। ঐ বৎসর এই রাজবাটীতে একটা দরবার করিয়া ইহঁাকে একখানি সনন্দ
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৪৫৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।