দেবগণের মর্ত্যে আগমন "حالاتي ভূম্যধিকারী রায় রমণীমোহন রায় চৌধুরীর সম্পত্তির ম্যানেজার হন। মহারাণী স্বর্ণময়ীর স্বামী রাজা কৃষ্ণনাথ রায়ের মৃত্যু হইলে স্বর্ণময়ী ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীর বিরুদ্ধে যে মোকদমা করেন, তাহ রাজীবলোচন চালাইবার ভার পান ও মোকদমায় জয়লাভ করেন । এবং তদবধি রাণীর দেওয়ানী পদ প্রাপ্ত হন । ১৮৭১ খ্ৰীঃ অব্দে গবর্ণমেণ্ট ইহঁার কার্য্যকলাপ দৃষ্টে সস্তুষ্ট হইয়া রায় বাহাদুর উপাধি প্রদান করেন। ১২৮৮ সালে ৯ আশ্বিন ইহঁর মৃত্যু হয়। ইহঁার দানশক্তিও বিলক্ষণ ছিল। মৃত্যুকালে যে উইল করেন, তাহাতে কলিকাতা সংস্কৃত কলেজে মাসিক ৫০ টাকার বৃত্তি স্থাপনের জন্ত ১৫ হাজার টাকা ও বহরমপুর কলেজে নিজ নামে ৫০২ টাকার একটী বৃত্তি স্থাপন জল্প ১৫ হাজার টাকা দান করিয়া গিয়াছেন । ইনি নিঃসন্তান ছিলেন , ৭২ বৎসর বয়সে ইহঁার মৃত্যু হয়। রাজীবলোচন একজন সুশিক্ষিত, দয়ালু ও সরলহদয় ব্যক্তি ছিলেন। ইহঁর তুল্য সুবুদ্ধিসম্পন্ন ব্যক্তি অল্প দেখিতে পাওয়া যায়। ইনি অতিশয় বিজ্ঞ ও বিবেচক ; ইহঁার চক্ষু সতত পরের দুঃখের দিকে ঘুরিয়া বেড়াইত এবং অন্তঃকরণ পরের কষ্টেই যেন রোদন করিত । কেবল পরদুঃখের কথা লইয়া ইহঁর আন্দোলন ছিল। রাণী অন্দরে থাকেন, দেওয়ান কোন স্থানে কোন দরিদ্র রোদন করিতেছে, তৎসমাচার রাণীকে আনিয়া দিতেন। ইহঁ কর্তৃক রাণীর বিষয়ের সুবন্দোবস্ত এবং রাণীকে সৎকার্য্যে দান ধ্যান করাইতে দেখিয়া গবর্ণমেণ্ট সন্তুষ্ট হইয়। ১৮৭১ সালে রাণীকে মহারাণী উপাধি প্রদান-সময়ে ইহঁাকেও রায় বাহাদুর উপাধি প্রদান করিয়াছিলেন । ব্ৰহ্মা। বরুণ ! এই রাজবংশের আদি পুরুষ কে ? এবং তিনি কি উপায়ে এই অতুল ঐশ্বৰ্য্য লাভ করিলেন, তদ্বিবরণ বল । বরুণ। বাবু কৃষ্ণকান্ত ননী ওয়ারেণু হেষ্টিংস সাহেবের কৃপায় এই অতুল ঐশ্বৰ্য্যের অধিকারী হন। যে সময় নবাব সিরাজউদৌলা কর্তৃক কলিকাতায় অন্ধকূপহত্যা নামক ভয়ানক কাণ্ডের অভিনয় হয়, সেই সময়
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৪৬০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।