পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৪৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩১২ দেবগণের মর্ত্যে আগমন সাহেবের মৃত্যুর পর কলিকাতা মেডিকেল হলে দেশীয়দিগের যে একটা মহতী সভা হয়, সে সভা ইহঁরই যত্বে হইয়াছিল। ইনি ঐ সাহেবের প্রতিমূৰ্ত্তি নিৰ্ম্মাণ জন্য অনেক টাকা দানও করিয়াছিলেন। কলিকাতার স্ববিখ্যাত রাজা দিগম্বর মিত্র, সি-এস-আই মহোদয়কে ইনি এককালে এক লক্ষ টাকা দান করেন। ঐ এক লক্ষ টাকাই তাহার শ্ৰীবৃদ্ধির প্রথম সোপান । রাজা কৃষ্ণনাথ ইংরাজী ১৮৪৪ সালের ৩১এ অক্টোবর নিজ হস্তে গুলি করিয়া প্রাণত্যাগ করেন। দেবগণ ইহার পর মহারাণীর লক্ষ্মীনারায়ণজী প্রভৃতি দেবালয় দর্শন করিয়া নগরের রাস্তায় রাস্তায় কিছুক্ষণ ভ্ৰমণ করিলেন। বরুণ কহিলেন “পিতামহ ! এ সহরে দোকানদারের রজনীতে বাস করিবার জন্ত অপরিচিত লোককে স্থান দান করে না। অতএব চলুন আজিমগঞ্জে প্রস্থান করি।” তাহার কথায় সকলে সম্মত হইলেন এবং একখানি নৌকা ভাড়া করিয়৷ আজিমগঞ্জের অভিমুখে চলিলেন। ইন্দ্ৰ কহিলেন ‘বরুণ । মুরশিদাবাদের অপরাপর বিষয় বল।” * বরুণ। মুরশিদাবাদ ভাগীরথীর উভয় তীরে অবস্থিত। এই সহর দৈর্ঘ্যে পাচ মাইল এবং প্রস্থে আড়াই মাইল হইবে । কাসিমবাজার বহরমপুর, মতিঝিল, জিয়াগঞ্জ প্রভৃতি স্থান সকল মুরশিদাবাদের অন্তর্গত। মুরশিদাবাদে অনেক বড় বড় জমীদার ও সওদাগর বাস করেন। এই স্থান কোরার কারবারের জন্য বিখ্যাত। এই কারবার উপলক্ষে পূৰ্ব্বে অনেক ধনী ইংরাজ ও ফরাসী এখানে কুঠি করিয়া বাস করিত। বহরমপুরের ১৬ মাইল দুরে জামুয়ার্কাদি নামক একটা স্থান আছে। জামুয়ার্কাদি দেওয়ান গঙ্গাগোবিন্দ সিংহের জন্মভূমি। ইনি পাকপাড়ার রাজপরিবারের আদিপুরুষ। ঐ স্থানে তাহার প্রতিষ্ঠিত এক বিষ্ণুমূৰ্ত্তি আছেন। দেবমূৰ্ত্তির প্রত্যহ বেশ সমারোহের সহিত সেবা হয় এবং যত অতিথি উপস্থিত হউক কাহাকেও বিমুখ করা হয় না। রাসের সময় বড়