মুরশিদাবাদ లి)ల్లి, সমারোহ হইয়া থাকে। নৃত্য গীত ইত্যাদির খরচে দশ হাজার টাকা বরাদ্ধ আছে। গঙ্গাগোবিন্দ সিংহ লর্ড হেষ্টিংস সাহেবের দেওয়ান ছিলেন। এজন্ত র্তাহাকে দেওয়ান ‘গঙ্গাগোবিন্দ সিংহ বলে। ইনি মাতৃশ্ৰাদ্ধে বড় সমারোহ করিয়াছিলেন ; পুষ্করিণী খনন করিয়া তাহী স্কৃতের দ্বারা পূর্ণ করিয়া উৎসর্গ করা হইয়াছিল এবং বঙ্গদেশের যত জমীদারকে নিমন্ত্রণ করিয়া আনিয়া টাটুকা জগন্নাথের প্রসাদ খাইতে দেওয়া হইয়াছিল। ঐ প্রসাদ তিনি কাথি হইতে পুরী পৰ্য্যন্ত অশ্বের ডাক বসাইয়া আনাইয়াছিলেন। জিয়াগঞ্জে মস্তরাম বাবাজী নামক এক উদাসীন সাধুর মঠে অনেকগুলি হিন্দু দেব দেবীর প্রতিমূৰ্ত্তি আছে। ঐ মস্তরাম, নবাব সিরাজউদৌলার সময় বৰ্ত্তমান ছিলেন। কথিত আছে—এক সময় সিরাজউদৌল কোন হিন্দু রমণীর রূপে মোহিত হইয় তাহার সতীত্ব নাশের চেষ্টা করিলে, সতী সতীত্বনাশের ভয়ে মস্তরামের কুটীরে যাইয়া আশ্রয় গ্রহণ করেন। সিরাজ সন্ধান পাইয়া যখন র্তাহাকে ধরিতে লোক পাঠান, তাহারা সাধুর কুটারদ্বার দিয়া ভিতরে প্রবেশ করিবার উদ্যোগ করিলে, কুটীরস্থ অগ্নিকুণ্ড হইতে অগ্নিশিখা উত্থিত হইয়া এমনি বেগে ঐ লোকদিগের মুখে আসিয়া লাগিতে লাগিল যে, তাহারা পলাইয়া ত বাধ্য হইল । নবাব এই অসম্ভব কথায় অবিশ্বাস করিয়া স্বয়ং রমণী লাভের প্রত্যাশায় কুটীরে যাইয়া উপস্থিত হইলেন এবং সাধুর নিষেধ না শুনিয়া সতীর সতীত্ব নাশ করিবার অভিপ্রায়ে ধরিতে যাইলেন ; কিন্তু সাধুর প্রভাবে রমণী অদৃষ্ঠা হইলেন । সাধুর এবংবিধ অসাধারণ ক্ষমতা দেখিয়া, নবাব অত্যন্ত বিস্ময়াভিভূত হইলেন। তদবধি র্তাহার পাট টাকা করিয়া মাসিক বৃত্তি ও অনেক জমা জমী করিয়াদিয়াছেন। মস্তরামের পর ক্রমান্বয়ে চারি জন চেলা হইয়া গিয়াছে, এক্ষণে শ্রবণ দাস বাবাজী বিরাজ করিতেছেন। ইনিও সাধু বটে ; কিন্তু দুঃখের বিষয় গুরুর গুণের একাংশও প্রাপ্ত হয়েন নাই। দেবগণ সে রাত্রি আজিমগঞ্জে অতিবাহিত করিয়া প্রাতের ট্রেণে
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৪৬৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।