মুরশিদাবাদ । లSa বরুণ। বীরভূমে একঘর রাজা আছেন। ইন্দ্র। র্তাহার বিষয় বল । বরুণ। বীরভূমের রাজপরিবারের মুসলমান রাজত্বের সময় হইতে বিখ্যাত। ঐ রাজবংশের নিত্যানন্দ প্রথম, সম্রাটু সা আলম কর্তৃক মহারাজ উপাধি প্রাপ্ত হন। রাজা নিত্যানন্দের মৃত্যুর পর তাহার জ্যেষ্ঠপুত্র বনোয়ারিলাল রাজা হন । ইনি ব্রিটিশ গবর্ণমেণ্টের অত্যন্ত অনুগত ও বন্ধু ছিলেন । উক্ত গবৰ্ণমেণ্ট ইহঁাকে মহারাজা উপাধি প্রদান করেন। বনোয়ারিলালের মৃত্যুর পর তাহার কনিষ্ঠ ভ্রাতা জগদিন্দ্র বনোয়ারি গোবিন রাজা হন । তিনি ১৮৫৭ সালের ২০ ডিসেম্বর গবর্ণমেণ্ট হইতে রাজা উপাধি প্রাপ্ত হন । ইনি সুশিক্ষিত, ধাৰ্ম্মিক ও প্রজাহিতৈষী ছিলেন। ট্রেণ আবার ছাড়িল এবং অনতিবিলম্বে ভোলপুর ষ্টেশনে আসিয়া উপস্থিত হইলে পিতামহ কহিলেন “বরুণ ! এ স্থানের নাম কি ?” বরুণ। এ স্থানের নাম ভোলপুর । ভোলপুর ষ্টেশনের দুই মাইল দূরে স্থপুর নামক একটা স্থান আছে। হিন্দু রাজাদিগের সময় সুপুর একট বিখ্যাত নগর ছিল । ঐ নগর রাজা সুরথ কর্তৃক সংস্থাপিত হয় । তাহার প্রতিষ্ঠিত কালীমূৰ্ত্তি অদ্যপি বর্তমান আছেন। ঐ কালীর নিকট রাজা প্রত্যহ লক্ষ বলি প্রদান করিতেন । দেবীর মন্দিরটা এক্ষণে ধ্বংসাবশেষ । এক্ষণে তিনি প্রত্যহ লক্ষ বলির পরিবর্তে এক এক বলি প্রাপ্ত হন কি নী সন্দেহ । মন্দিরের সন্নিকটে সুপুরের বাজার । সুপুরে বাসা-বাট ও চাউল বড় সস্তা । পুনরায় ট্রেণ ছাড়িল এবং ট্রেণ ছুইটী ষ্টেশন অতিক্রম করিয়া কাম্লজংসনে উপস্থিত হইলে বরুণ কহিলেন “পিতামহ ! এ স্থানের নাম কানুজংশন। এই স্থান হইতেই কর্ড ও লুপ লাইন নামক রেলওয়ের দুইটী শাখা দুই দিকে পৃথক হইয়া গিয়াছে। ঐ কর্ড লাইনের ধারে বৈদ্যনাথ তীর্থ।” ব্ৰহ্মা । কতগুলো ষ্টেশন পরে বৈদ্যনাথ তীৰ্থ ? -
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৪৬৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।