মুরশিদাবাদ όSa কামরা উপস্থিত হইয়া দেখি—রাবণ শিব ঘাড়ে করিয়া বৈদ্যনাথে আসিয়৷ উপস্থিত হইয়াছেন। তখন আমি সাত পাচ ভাবিয়া তাহার উদরে প্রবেশ করিয়া প্রস্রাবের পীড়া জন্মাইয়া দিলাম। রাবণ প্রস্রাবের পীড়ায় কাতর ; অথচ শিবকে নামাইলে তিনি আর উঠবেন না ; কি করেন কিছুই স্থির করিতে না পারিয়া চতুর্দিকে চাহিতে লাগিলেন । এই সময় আমাদের মধ্যে একজন বৃদ্ধ ব্রাহ্মণবেশে যষ্টিহস্তে ধীরে ধীরে রাবণের নিকট আলিয়। উপস্থিত হইলেন । রাবণ র্তাহাকে দেখিয়া কহিলেন “ঠাকুর । এই শিবটে যদি একটু ধরেন, তাহ হইলে প্রস্রাব করিয়া লই ।” ব্রাহ্মণ কহিলেন “আমি প্রাচীন, ও পাথর কি আমার সাধ্য বহন করিতে পারি ?” কিন্তু রাবণ বারংবার অনুনয় বিনয় করায় ব্রাহ্মণ কহিলেন “দেও, কিন্তু সত্বরে প্রস্রাব করিয়া লইবে, নচেৎ আমি ফেলিয়া দিব।” রাবণ তথাস্তু বলিয়া ব্রাহ্মণের মাথায় শিব চাপাইয়া দিয়া প্রস্রাবে বসিলেন ; কিন্তু তাহার প্রস্রাব আর শেষ হয় না। ঐ প্রস্রাবে কৰ্ম্মনাশ নদীর উৎপত্তি হইল * রাবণ প্রস্রাবই করিতেছেন, প্রস্রাবের তেজে নদীতে স্রোত বহিতে লাগিল, ঢেউ উঠল তথাপি বিরাম নাই। এই সময়ে ব্রাহ্মণ কহিলেন “তোমার শিব লও, নচেৎ আর পারিনে—মাথা ফেটে যাচ্ছে।” রাবণ কহিলেন “আর একটু বাবা-দোহাই তোর—আমার প্রায় হয়েচে।” ব্রাহ্মণ কহিলেন “দূর কর, হয়েচে—বসে পৰ্য্যস্ত ব’লচে ! আমি আর পারিনে—এই থাকূলে তোমার শিব” বলিয়া পলায়ন করিলেন। তখন আমিও রাবণের দেহ হইতে বহির্গত হইলাম, তাহার প্রস্রাব কর শেষ হইলে শিবকে উঠাইতে চেষ্টা পাইলেন ; কিন্তু শিব আর উঠলেন না। তখন
- বৈদ্যনাথ কৰ্ম্মনাশা নামক নদীর তীরে অবস্থিত । রাবণের প্রেস্রাবে এই নদীর উৎপত্তি হওয়ায় ইহার জলে দেবপূজা প্রভৃতি কোন কাৰ্য হয় না, তজ্জন্তই ইহার নাম
i i ! - . - . r