বৰ্দ্ধমান ব্যাগ হস্তে গল্প করিতে করিতে দেবগণ নগরাভিমুখে চলিলেন। ইহঁদের সহিত একটি বাঙ্গালী বাৰুe-ছিলেন। বাবু কহিলেন “মহাশরেয়া বৰ্দ্ধমান দেখিতে যাইতেছেন ? স্থানটী দেখিবার মত বটে। এখানে বৰ্দ্ধমানের রাজার বিস্তর কীৰ্ত্তি আছে। র্তাহারই দেবালয়, অট্টালিকা, বাগান ও সরোবরাদিতে নগরট পরিপূর্ণ। ঐ যা ! মহাশয়, আমি ভুল ক’রে কার একটা ব্যাগ এনে ফেলেছি ! কি হবে ? আমার ব্যাগে যে প্রায় ৪৫ শত টাকার গহনাদি আছে। এতক্ষণ কি গাড়ী ষ্টেশন হইতে চলিয়া গিয়াছে ?” বরুণ। গাড়ী এতক্ষণ পাণ্ডুয়ায়। “কি হবে মহাশয় ? যেতে হ’ল—যদি টেলিগ্রাফ ট্রাফ ক’রে পাওয়া যায়।” বলিয়া বাবুট দ্রুতপদে ষ্টেশনের অভিমুখে ছুটিল । ব্ৰহ্ম । লোকটা দেখচি নারায়ণের দাদা ! য়্যা ! নিজের ব্যাগটা ফেলে । আর একটা কার ভূয়ো ব্যাগ নিয়ে এল ! যপন তোর ব্যাগে ৪৫ শত টাকার দামী জিনিস রয়েছে, হাতে রাখতে নেই ? ইন্দ্র। লোকটা তবু ভাল যে, শুধু হাতে না এসে যাহা হউক একটা নিয়ে এসেছে। আমাদের ইনি দিয়ে আসেন ব্যতীত কখন কিছু নিয়ে আসেন না । নারা । তুমি থাম । বরুণ । পিতামহ ! সম্মুখে দেখুন রাণীসায়ের নামক একটা বৃহদাকার পুষ্করিণী । এই সময় এক ব্যক্তি থালে করিয়া ওলা বিক্রয় করিতে যাইতেছে দেখিয়া উপ কহিল, “কৰ্ত্তী জেঠা ! ঐ সাদা সাদা হাসের ডিমের মত কি বেচুতে যাচ্চে,–কিনে দেওনা, খাব।” বরুণ তৎশ্রবণে দুই পয়সা দিয়া একটা খরিদ করিয়া দিলেন। কিন্তু উপ অনেক চেষ্টা করিয়াও দন্তস্ফুট করিতে পারিল না । -
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৪৭২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।