vరి:R দেবগণের মর্ত্যে আগমন নগদ নাই দেখিয়া প্রত্যেক রজনীতে এক একখানি খত লিখিয়া লইত। এইরূপে খত-সংখ্যা বেশী হইলে, এক্ষণে সমস্ত টাকার দাবিতে নালিশ করিয়া ভিটাস্থ ঘুঘুস্থ করিতেছে। নারা। বেশ করেছে। ইহার দেখে অন্ত পাটাদের জ্ঞান জন্মাক। বরুণ। পিতামহ। ওদিকে ঐ যে একট ক্ষুদ্র আকারের পুষ্করিণী দেখিতেছেন, উহার নাম বাহির সর্বমঙ্গল পুষ্করিণী। উহার জল বড় চমৎকার। জল খারাপ হইবার আশঙ্কায় কাহাকেও স্নান করিতে কিংবা বস্ত্রাদি ধৌত করিতে দেওয়া হয় না। নগরের যাবতীয় লোক এই পুষ্করিণী হইতেই জল পান করে । এখান হইতে দেবগণ রাজার হাতিশালার নিকট উপস্থিত হইয়া দেখেন, ১০।১৫টা হাতী রহিয়াছে । তৎপরে তাহার। আর একটী পুষ্করিণীর তীরে উপস্থিত হইয়া সবিস্ময়ে চারিদিকে চাহিতে লাগিলেন। ইন্দ্র । বরুণ ! আমার অনেক পুষ্করিণী আছে সত্য, কিন্তু এমন সুন্দর ও বৃহদাকার পুষ্করিণী ত রাজ্যমধ্যে নাই। পুষ্করিণীটা এত বৃহৎ যে, পরপারে মনুষ্যগুলিকে ক্ষুদ্র বলিয়া বোধ হইতেছে। এ সরোবরটর নাম কি বরুণ ? বরুণ। এই পুষ্করিণীর নাম কৃষ্ণলায়ের। এমন বৃহদাকার সরোবর বৰ্দ্ধমানে আর দ্বিতীয় নাই । পুষ্করিণীর প্রত্যেক পাড়ে দেখ—কেমন সুন্দর সুন্দর পুষ্পবৃক্ষগুলি নানাপ্রকার ফল পুষ্পে শোভা পাইতেছে ! ওদিকে দেখ কতকগুলি কামান পাতা রহিয়াছে। প্রত্যহ রাত্রি এক প্রহর এবং প্রাতে চারিটার সময় এই স্থান হইতে এক একবার কামান দাগ হয় । দেবগণ চাহিয়া দেখেন–র্তাহাদের নিকটে একট বাবু দাড়াইয়। আছেন। বাবুটীর মুখ হৰ্ষযুক্ত। দেখিলে বোধ হয়, বাবু যেন কোন একটি সৎকাৰ্য্য করিয়া মনের আনন্দে ভাসিতেছেন। বাবু হঠাৎ একটা লোককে নিকটে আসিতে দেখিয়া হাসতে হাসতে কছিলেন “কেমন হে, খুব সন্তুষ্ট হয়েছে ? তুমি ক’ল্পে না কেন আমার মত বাবু বৰ্দ্ধমানে আর
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৪৭৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।