পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৪৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৰ্দ্ধমান ' ৩২৭ বরুণ। আজ্ঞে, ছেলে হয়ে হয়ে বঁাচে না ব’লে পাঁচকড়ি নাম দিয়েছে। এখান হইতে সকলে গোলাব-বাগের নিকট যাইয়া উপস্থিত হইলে বরুণ কহিলেন, “এই স্থানের নাম গোলাব-বাগ । কেহ কেহ ইহাকে দেলখোস-বাগও কহে । দেলখোস-বাগের ভিতরট অতি রমণীয় । ইহা প্রায় এক মাইল দীর্ঘ। চতুর্দিকে পরিখা-বেষ্টিত। পূৰ্ব্বদিক ব্যতীত অপর কোনদিকে প্রবেশপথ নাই। ঐ পূৰ্ব্বদিকের দুই গ্রান্তে হট গেট আছে। প্রথমতঃ পরিখার উপরিস্থ পোল পার হইয়। তবে প্রবেশ করিতে হয় । প্রবেশদ্বারে শাস্ত্রী পাহারা ।” নারায়ণ ও দেবরাজ দেলখোস্বাগ দেখিবার একান্ত ইচ্ছা প্রকাশ করিলে বরুণ সকলকে লইয়া ভিতরে প্রবেশ করিলেন। প্রবেশ করিয়া দেখেন—বাগানের মধ্যে নানা রঙ্গের নানাপ্রকার পুষ্পবৃক্ষ সকল বিরাজ করিতেছে এবং অনেকপ্রকার পশু ও পক্ষী রহিয়াছে। পিতামহ নিজ স্বই যাবতীয় পশুপক্ষীদিগকে একত্র দেখিয়া মহা আহলদিত হইলেন। দেবগণ যেমন ব্যান্ত্রের পিঞ্জরের নিকট যাইয়া উপস্থিত হইলেন, ব্যাঘ্র অমনি তাহদের আপাদ মস্তক নিরীক্ষণ করিয়া “হালুম” শব্দে লাস্কুলের চটচট শব্দ করিয়া বাহির হইবার চেষ্টা করিতে লাগিল । তাহার মনের ভাব—একবার বাহির হইলে বিধাতার চরণে প্রণাম করিয়া বলিবে “আপনি আমাকে অরণ্যমধ্যে বাস করিয়া মচুন্য প্রভৃতির শোণিত পানে জীবন ধারণ করিবার নিমিত্ত সৃষ্টি করিয়াছেন। আমার গর্জনে মনুষ্যদিগের হৃৎকম্প উপস্থিত হয়। যে গ্রামে আমার শুভাগমন হয় তথাকার লোকে রজনীতে ভয়ে গৃহের বাহির হইতে সাহস করে না। কিন্তু দেখুন, সেই মমুষ্যেরা আমাকেও ধরিয়া আনিয়া পিঞ্জরাবদ্ধ করিয়াছে। মনুষ্যবুদ্ধিকে ধন্ত ! আমি যে মনুষ্যকে পাইলে হর্ষে মুখে করিয়া লইয়া পলায়ন করি, বুদ্ধিবলে সেই মনুষ্য আজি আমাকে র্কাদাইয়া যখন ইচ্ছা অল্প অল্প