পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৪৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

రిఫిy দেবগণের মর্ত্যে আগমন আহার দিতেছে এবং আমাকে রুদ্ধ রাখিয়া সকলকে তামাস দেখাইতেছে। মমুষ্যের চেষ্টা বুদ্ধির অসাধ্য কাৰ্য্য নাই। আপনাদের যখন শুভাগমন হইয়াছে এবং আমার অবস্থা স্বচক্ষে দেখিতেছেন, ভগবতীকে কহিবেন, তাহাকে পৃষ্ঠে বহন করার কি এই ফল ?” ব্যাঘ্ৰ দেখিয়া দেবগণ বনমানুষের নিকট যাইয়া উপস্থিত হইলেন। সে অমনি কুঁ কুঁ শব্দে কহিতে লাগিল—“মনুষ্য সকলেই এক—তবে কেহ বা বনমানুষ, কেহ বা নাগরিক মানুষ । দেবগণ ! আপনার চেয়ে দেখুন— মঞ্জস্য হইয়া মমুন্যের প্রতি কিরূপ অত্যাচার করিতেছে! আমাকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করিয়া রাথিয়াছে। বিধাতা! আপনি আমার প্রতি বিমুখ, তজ্জন্তই অশিক্ষিত, অসভ্য এবং বাক্যরহিত করিয়া স্বষ্টি করিয়াছেন। আমি পাপে যদিচ বনমানুষ হইয়াছি, কিন্তু সকল মানুষের ভ্রাতা। যে হেতু এক সময় সকলেরই পূৰ্ব্বপুরুষ বনমানুষ ছিল এবং হয় ত সকলেই আবার বনমানুষ হইবে। কিন্তু মনুষ্যগণের ভ্রাতৃস্নেহ নাই। থাকিলে এ হতভাগ্য বনমামুষের এ দশা করিবে কেন ? আমি মানুষ ভায়াদের কোন ক্ষতি করি নাই । বানর প্রভৃতির ন্তায় যদি ক্ষতি করিতাম কিংবা হস্তী প্রভৃতির ন্তায় পৃষ্ঠে বহিতাম তাহা হইলে আমাকে ধরিয়া আনিবার কোন আপত্তি ছিল না। আমরা অত্যন্ত ভালমানুষ ; তবে এ অত্যাচার কেন ? আমি দুঃখিত হইলাম, ইংরাজরাজ মানুষের প্রতি মানুষে অত্যাচার করিতেছে দেখিয়াও দেখেন না ।” ইহার পর সকলে এক স্থানে যাইয়া দেখেন—নীল, লাল, সাদা বানরগণ রহিয়াছে। সাদা বানরগণ অনেক দুঃখ করিল এবং র্কাদিতে কঁাদিতে কহিল “দেখুন কালে আমাদের বল বিক্রম কিছুই নাই। আমরা রুদ্রের অংশে জন্ম গ্রহণ করিয়াছি, সমুদ্র পার হইয়া লঙ্ক দাহ ও রাবণবংশ-ধ্বংস করিয়াছি। কিন্তু এক্ষণে আমাদের বল বিক্রমের কত হ্রাস হইয়াছে ; সামান্ত লৌহস্তৃঙ্খল ছিন্ন করিয়া স্বাধীন হইবার সামর্থ্য নাই! আপনার