বৰ্দ্ধমান లిసిన রাবণভয়ে ভীত হওয়াতেই আমরা বানররূপ ধারণ করি । কিন্তু দেবগণের উপকার করিয়া এক্ষণে যথেষ্ট সুখভোগ করিতেছি ; আপনাদিকে প্রণাম, করি ” এখান হইতে দেবগণ অপর স্থানে যাইয়া দেখেন—কতকগুলি বালিহংস, রাজহংস এবং পাতিহংস রহিয়াছে। রাজহংসেরা পিতামহকে দেখিয়া কাদিতে কঁাদিতে কহিল “আপনাকে বহন করার উত্তম প্রতিফল দিতেছেন।” দেবগণ পশু পক্ষীর রোদনে অত্যন্ত দুঃখিত হইলেন। বরুণ এই সময় সকলকে লইয়া গোলক ধাঁধার মধ্যে প্রবেশ করিলেন। পিতামহ গোলক ধাধার মধ্যে প্রবেশ করিয়া বিপদে পড়িলেন। তিনি যে দ্বার দিয়া বাহির হইতে যান, দেখেন একই আকারের কাঠের রেলিং লাল বর্ণের পুষ্পলতা দ্বারা আচ্ছাদিত। সকল রাস্তাই একরূপ পরিসর এবং একপ্রকার টবে ও একপ্রকার পুষ্পবৃক্ষে সুশোভিত। ব্ৰহ্মা। বরুণ ! এ ক’রেছে কি ! কত জমীতে যে গোলকধাঁধা রহিয়াছে, তাহার স্থিরতা নাই । বরুণ । জমী হদ এক কাঠ আন্দাজ । ইহার আকার অবিকল জিলিপীর প্যাচের দ্যায়। প্রত্যেক বেড়ার গাত্রে অসংখ্য দ্বার আছে। এবং প্রত্যেক বেড়ায় একপ্রকার লতা পুষ্প থাকায় লোকে সহজে বাহির হইতে পারে না । ব্ৰহ্মা। আমার ভাই প্রাণটা হাপে হাপে ক’বৃচে ! বাহির কর । নারা। না বরুণ ! একটু চেষ্টা ক’রে আগে দেখা যাক। . ব্ৰহ্ম। তোর ইচ্ছা হয়, তুই থাক। বরুণ! বাহির করে নিয়ে চল। কি জানি, পাছে ঘুরে ঘুরে ঘুর্ণ রোগ হয়। বরুণ সকলকে বাহির করিয়া আনিয়া এক স্থানে উপস্থিত হইয়া কহিলেন “পিতামহ ! মাটির মধ্যে একটা গৃহ দেখুন। এই গৃহট
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৪৮৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।