বৰ্দ্ধমান ඵ්ථළු করিতেছেন। প্রতিমূৰ্ত্তির সর্বাঙ্গে স্বর্ণালঙ্কার। রৌপ্যথালে নৈবেদ্যাদি সাজান রহিয়াছে। - ইন্দ্র। বরুণ ! নাটমন্দিরে এত ব্রাহ্মণ বসিয়া আছে কেন ? বরুণ। উহার ফলারে বামুন। লক্ষ্মীনারায়ণজীর বাটতে প্রত্যহ ব্রাহ্মণদিগকে প্রচুররূপে লুচি সন্দেশ আহার করিতে দেওয়া হয়। এজন্য উহারা আহারের প্রত্যাশায় বসিয়া আছে। এখান হইতে সকলে বাহির হইলে বরুণ কছিলেন “পিতামহ । সম্মুখে দেখুন–রাজার সরস্বতীপূজা ও দুর্গোৎসবের বাড়ী। এই বাড়ীতে প্রতিবৎসর অতি সমারোহের সহিত সরস্বতীপূজা ও দুর্গাপূজা হইয়া থাকে।” ইন্দ্র। যেমন সৰ্ব্বত্র প্রতিমূৰ্ত্তি নিৰ্ম্মাণ করিয়া পূজা করা হয়, এখানেও কি সেইরূপ হয় ? বরুণ। না ভাই ! এখানে দুর্গার প্রতিমূৰ্ত্তি পটে অঙ্কিত করিয়া পূজা করা হইয়া থাকে। . ইহঁর নিকট বলি হয় না, তবে দিন একটা করিয়া নারিকেল বলি দেওয়া হয়। ... • এখান হইতে সকলে স্কুলবাড়ী দেখিয়৷ গো-শালার নিকট উপস্থিত হইলে বরুণ কহিলেন “পিতামহ! এই গো-শালায় ৪-৫-টা ভাল ভাল গাই এবং ২৫/৩০টী মহিষ আছে। এখানে একটী বিগ্রহ আছেন। র্তাহার নাম ছোটলালা । ইহঁারও রীতিমত সেবা হইয়া থাকে। ইহঁার মত বৃহদাকার দেবমূৰ্ত্তি নগরে আর নাই।” ইহার পর দেবগণ অন্নপূর্ণ ও রাধাবল্লভজীর বাড়ী দেখিয়া একটা ময়রার দোকানে যাইয়া উপস্থিত হইলেন। ময়রার নাম রামদুলাল । রামদুলালের দোকানঘর তাহার বাড়ীর সহিত এরূপ ভাবে সংলগ্ন যে, ঠিক যেন বাহিরের ঘর বলিয়া বোধ হয়। কোন ভদ্রলোক যাত্রী আসিলে রামদুলাল বাড়ীতেও বাসা দিয়া থাকে। সে একাকী দোকান চালাইতে না পারাতে একটা ছেলেকে বেতন দিয়া রাখিয়াছে। রামদুলালের
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৪৯৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।