"මාම්හි দেবগণের মর্ত্যে আগমন পরিবার দেখিতে শুনিতে মৰ্ম্ম নহে। বয়স ১৮১৯ বৎসর, কোলে একট পাঁচ সাত মাসের ছেলে। রামছলাল শিক্ষিত নহে, তবে কোনপ্রকারে দোকানের হিসাবপত্র টুকিয়া রাখিতে পারে। সে সংবাদপত্র পাঠ করে ন, অথবা কোন সভায় যায় না, অথচ আমাদের সুশিক্ষিত দল অপেক্ষ প্রশংসার যোগ্য ; যেহেতু সে স্ত্রী-স্বাধীনতা বেশ বুঝে এবং স্ত্রীকে যথেষ্ট স্বাধীনতাও দিয়াছে। রামদুলাল ভিয়ান করে, স্ত্রী স্বাধীনতাপ্রভাবে দোকানঘরে ছেলে কোলে করিয়া বসিয়া থাকে। দোকানে কত দেশ দেশান্তর হইতে নুতন নূতন লোক আসিতেছে, ময়রাবে স্বাধীনতাপ্রভাবে সকলের সহিত আলাপ পরিচয় করিতেছে । দেবগণ দোকানঘরের নিকট উপস্থিত হইয়াই একখানি তক্তাপোসের উপর ধূপ ধাপ শব্দে ব্যাগগুলি ফেলিলেন এবং সকলে বসিয়া বিশ্রাম করিতে লাগিলেন। ময়রাবেী দেবগণকে কহিল—“তোমাদের বাড়ী কোথায় বাৰু ?” বরুণ বলিল—“আমাদের বাড়ী অমরপুর।” “আমারও বাপের বাড়ী অমরপুরে” বলিয়। ময়রাবে ময়রাকে কহিল “আমাকে কেন এদের সঙ্গে বাপের বাড়ী পাঠিয়ে দেও না ?” রামছ । মহাশয়েরা অমরপুরের মাধব ময়রাকে চেনেন ? বরুণ। তুমি কোন অমরপুরের কথা ব’লচে ? রামন্থ। নদে জেলায় একটা গ্রাম আছে, তাহার প্রকৃত নাম কল্পে অন্ন হয় না, এজন্ত অমরপুর বলিয়া ডাকিয়া থাকে। বরুণ। আমাদের বাড়ী সে অমরপুর নহে। আমাদের বাড়ী হরিদ্বারের সন্নিকটে । দেবগণ এই সময়ে চাহিয়া দেখেন—সন্মুখস্থ বেণের দোকানে মস্ত ভিড়। তাহারা বাপ-বেটায় পাচন বেঁধে উঠতে পারিতেছে না । পুত্র কহিতেছে “বাবা । কন্টিকারী আর নাই। “পিত কহিতেছে “আম-বেণ্ডনের গাছটা কেটে দে, না হয় কচি কচি কুলের ডাল কেটে আৰু।”
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৪৯৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।