বৰ্দ্ধমান ૭.૭૧ অতি গোপনে, এমন কি, মালিনীর অগোচরে নিজ বাসগৃহ হইতে বিদ্যার শয়নগৃহ পৰ্য্যস্ত এক সুড়ঙ্গ খনন করিয়া যাতায়াত করিতে লাগিলেন । এইরূপ যাতায়াত করাতে অবিবাহিত অবস্থায় বিস্তার গর্ভস্থঞ্চার হইল । তখন রাজা ক্রোধান্ধ হইয়া তস্করকে ধৃত করিবার আজ্ঞা দিলে কতোয়ালের স্ত্রীবেশে বিদ্যার মন্দিরে শয়ন করিয়া থাকিল এবং সুন্দরকে ধরিল । রাজা সুন্দরকে মশানে লইয়া গিয়া প্রাণদণ্ডের আজ্ঞা দেন। মৃত্যুকালে সুন্দর ভক্তিভরে কালীর স্তব করাতে দেবী আসিয়া দেখা দিলেন। রাজা এই ঘটনায় চমৎকৃত হইয়া সুন্দরের সহিত বিদ্যার বিবাহ দেন। ভারতচন্দ্র ঘটনাগুলি এমন সুন্দরভাবে লিখিয়াছেন যে, পাঠ করিলেই সত্য ঘটনা বলিয়া বোধ হয়। ভারতচন্দ্রের সহিত বৰ্দ্ধমানের রাজা অসদ্ব্যবহার করাতে তিনি সেই ক্রোধে কৃষ্ণনগরের রাজার সাহায্যে পুস্তকখানি প্রণয়ন করেন, কিন্তু বৰ্দ্ধমানবাসীরা বিদ্যা-সুন্দরের লীলাখেলাকে স্বদেশের গোস্ব মনে করিয়া অম্লানমুখে ঐ বিদ্যাপোর্তা: “ঐ মালিনীপোতা” বলিয়া দেখাইয়া দেয়। ব্ৰহ্মা । ভারতচন্দ্র রায়ের বিষয় আমাকে সংক্ষেপে বল । বরুণ। ইনি ১১১৯ সালে, ( ১৭১১ খৃঃ অব্দে ) বৰ্দ্ধমান জেলার অন্তঃপাতী ভুরসুট পরগণার মধ্যে পাণ্ডুয়া নামক গ্রামে:ব্রাহ্মণকুলে জন্মগ্রহণ করেন । ইহার পিতার নাম নরেন্দ্রনারায়ণ রায় । বৰ্দ্ধমানের রাজা কীৰ্ত্তিচন্দ্রের মাতার সহিত নরেন্দ্রনারায়ণের বিবাদ হওয়াতে র্তাহার বাড়ী-ঘর লুষ্ঠিত ও যথাসৰ্ব্বস্ব অপহৃত হয়। পিতা নিঃস্ব হইলে ভারতচন্দ্র মাতুলালয়ে যাইয়া বাস করিতে লাগিলেন । ইহার পর তিনি বিশেষরূপে সংস্কৃত ও পারসী ভাষা শিক্ষা করিয়া নানা স্থান ভ্রমণপূর্বক পরিশেষে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের নিকট ৪০ টাকা বেতনের একটু কৰ্ম্মে নিযুক্ত হইলেন । তিনি দুটা করিয়া কবিতা রচনা করিয়া ಛಿ। প্রতিদিন সন্ধার সময় শুনাইতেন। রাজা তাহার কবিতা শ্রবণে সন্তুষ্ট হইয়া “রায়গুণাকর" উপাধি প্রদান করেন এবং অন্নদামঙ্গল ও বিস্তামুন্দর লিখিতে আজ্ঞা দেন । २३
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৪৯৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।