পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৫০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৰ্দ্ধমান లిలిపి পক্ষের কতকগুলো বানর ও রাক্ষসফৌজ দাড়াইয়া আছে। কোন স্থানে যাত্রা হইতেছে ; এক দিকে বসিয়া পুরুষগণ শুনিতেছেন, অপর দিকে চিকের মধ্যে স্ত্রীলোকেরা বসিয়া আছেন। কোন স্থানে অহল্য পাষাণীর উপর দাড়াইয়। রামচন্দ্র পুষ্পচয়ন করিতেছেন। একস্থানে শ্ৰীকৃষ্ণ গোপিনীদিগের বস্ত্রহরণ করিয়া কদম্ব গাছের শাখায় বসিয়া হালিতেছেন। নিম্নে দাড়াইয়া উলঙ্গিনী স্ত্রীলোকেরা বস্ত্র ভিক্ষা করিতেছে। এখান হইতে সকলে রাজার হাসপাতালের নিকট উপস্থিত হইলে “এই যানেওয়াল৷ ” “এই যানেওয়াল৷ ” শব্দ করিতে করিতে একখানি বগী, ঘোড়ার পায়ের খটখট” শব্দের সহিত “পোইস পোইস” শব্দে নক্ষত্ৰবেগে চলিয়া গেল। দেবতারা রাস্তার একপাশ্বে দাড়াইয়া শকটারোহী বাবু দুটীর প্রতি চাহিয়া দেখিতে লাগিলেন। বরুণ কহিলেন “ঐ ছোটট বেট, বড়টা বাপ । কেমন এয়ারকি দিতে দিতে যাচ্চে দেখুন, বৰ্দ্ধমানে বাপ বেটাতেও এয়ারকি চলে ।” se উপ। বরুণ-কাকা । তবে ত এ বড় মজার জায়গা। আমার এখানে একটু চাকরী হয় না ? তা হ’লে বাবাকে এনে এয়ারকি দিই ! নারা। আ মরি মরি! উপ’র কি স্বল্পবুদ্ধি ! ইন্দ্র । ও কেমন লোকের ছেলে । এখান হইতে সকলে তেলমাড়াই নামক স্থানে উপস্থিত হইয়া শুনিলেন একটা বেগু সুমধুর স্বরে কীৰ্ত্তন গাহিতেছে । দেবতারা অনেকক্ষণ পৰ্য্যন্ত কীৰ্ত্তন শুনিলেন। ইন্দ্র কহিলেন “পিতামহ ! আপনি বলিয়াছেন দিনের মধ্যে একবার মাত্র হরিনাম করিলে সৰ্ব্ব পাপ হইতে মুক্ত হইয়া বৈকুণ্ঠে যাইবে । এই বেণ্ড প্রতিদিন হরিসংকীৰ্ত্তন করিতেছে । অতএব মরণাস্তে ইহারও কি বৈকুণ্ঠলাভ হইবে ? ব্ৰহ্মা । ভাই ! বেণ্ডার নিজের উপজীবিকার জন্যই হরিনাম করে ; অতএব তাহাদের মুক্তি হইবে না।