পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৫০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪২ দেবগণের মর্ত্যে আগমন সহ তাম্বু ফেলিয়া বাস করিয়াছিলেন এবং এই স্থানেই জাহাঙ্গীরের আজ্ঞায় সের আফগানের প্রাণ বিনষ্ট হইয়াছিল।” নারা । বরুণ! জাহাঙ্গীর কি কারণে সের আফগানের প্রাণ লইতে আজ্ঞা দেন ? বরুণ ৷ মেহের উন্নিসা নামে সের আফগানের অদ্বিতীয় পরম মুনারী স্ত্রী ছিল। ঐ স্ত্রীর উপর জাহাঙ্গীরের বাল্যকাল হইতে লোভদৃষ্টি পতিত হয়, কিন্তু প্রথমে কৃতকাৰ্য্য হইতে পারেন নাই। পরে দিল্লীর সিংহাসনে আরোহণ করিয়াই ঐ স্ত্রীকে প্রাপ্ত হইবার জন্য সের আফগানকে হত্যা করা হয়, এবং তাহার স্ত্রী মেহের উন্নিসাকে বিবাহ করিয়া মুরজাহান নাম দিয়া বামে লইয়া সিংহাসনে বসেন । ইন্দ্র । উঃ কি অত্যাচার ! বরুণ। ওদিকে দেখ—আজীম ওসমান নামক এক ব্যক্তির মসজিদ । এখান হইতে দেবগণ যাইতে যাইতে এক স্থানে উপস্থিত হইয়া দেখেন, একটী বাড়ীতে লোকে লোকারণ্য। বাটীর দ্বারে একট প্রাচীন বসিয়া থরথর করিয়া কঁাপিতেছে। বাটীর মধ্যে একটী বৃদ্ধাকে দুটা যুবতী প্রহার করিতেছে । দ্বারস্থিত বৃদ্ধ দেবগণকে দেখিয়া কঁাপিতে কঁাপিতে কহিল, “তোমরা ভিতরে গিয়া ছাড়িয়ে দেও। আমাকে মেরে ফেলুক ক্ষতি নাই—ও বুড়িকে যেন আর মারে না। বাবা ? তোমাদের পায়ে পড়ি, গিয়ে ছাড়িয়ে দেও।” ব্ৰহ্মা। বরুণ! কাণ্ডটা কি ? বরুণ। বোধ হয় বৃদ্ধাকে তাহার পুত্রবধূদ্বয় প্রহার করিতেছে। আর বৃদ্ধার স্বামী দ্বারে বসিয়া কঁাপিতেছে। বধূর স্বামীর নিকট শ্বশুর শাশুড়ীর নিন্দ করাতে স্বামীরা প্রহারের দ্বারা মাত পিতাকে সায়েস্তা করিতে আজ্ঞা দিয়াছে ।