পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৫০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

J88 দেবগণের মর্ত্যে আগমন আবার সকলে দ্রুতপদে চলিলেন। যাইতে যাইতে উপ কহিল, “বরুণকাকা! চেয়ে দেখ—বাশবনের মধ্যে একটা বাবু লুকিয়ে থেকে ধোপার বাড়ীর দিকে কি চেয়ে চেয়ে দেখুচে।" ইন্দ্র। সত্যি বরুণ ! ও কি দেখচে ? বরুণ । ধোপাদের একটা সুন্দরী বেী আছে, বাবু তার সঙ্গে— ইন্দ্র। আরে ছি ! ছি! আর জাতি-বিচারও নাই ? কলিতে হ’লে কি ? সকলে ষ্টেশনে আসিয়া সে রাত্রে ট্ৰেণ না পাওয়াতে এক স্থানে শয়ন করিলেন এবং ঘুমের পর পিতামহ কহিলেন, “বরুণ! বৰ্দ্ধমানের অপরাপর বিষয় সংক্ষেপে বল।” বরুণ। বৰ্দ্ধমানের রাজা বাঙ্গালার মধ্যে সৰ্ব্বপ্রধান জমীদার। ইহার জমীদারী প্রায় ৭০ মাইল দীর্ঘ এবং ৫০ মাইল প্রস্থ । ইনি গবর্ণমেণ্টকে চৌদ্দ লক্ষ টাকা বাধিক কর দিয়া থাকেন। রাজার আমলাদিগের বেতনে মাসিক আট হাজার টাকা ব্যয় হয় । ষ্টেশনের পাশ্বে সৈন্তদিগের তাম্বু ফেলিয়া বাস করিবার স্থান আছে। এখানকার ডাকবাঙ্গালাটী বড় সুন্দর। ঐ ডাকবাঙ্গালায় অনেক পথিক সাহেব আসিয়া বাস করিয়া থাকেন । এই সুন্দর স্থান বাকী নদীর তীরে অবস্থিত। নগরের সন্নিকটে দুই শত আশীট খিলান-বিশিষ্ট একটী সেতু আছে। ঐ সেতু নিৰ্ম্মাণ করিতে প্রায় দুই লক্ষ টাকা ব্যয় হয়। বিদ্যাপোতা নামক স্থানের কিছু দূরে মানসসরোবর নামে একটা বৃহৎ পুষ্করিণী আছে ; এক্ষণে উহাতে অধিক জল নাই ; যাহা আছে তাহাতে পদ্মপুস্পাদি প্রস্ফুটিত থাকিয়া পুষ্করিণীর অত্যাশ্চর্য্য শোভা সম্পাদন করিয়াছে। বৰ্দ্ধমানের অপর নাম কুসুমপুর । এখানকার ওলা, লালমোহন, সীতাভোগ, খাজা ও মিহিদানা বড় বিখ্যাত। সরস্বতীপূজা ও ঝুলনের সময় এখানে বড় সমারোহ হইয়া থাকে। ঐ উপলক্ষে বিস্তর যাত্রী বৰ্দ্ধমানে আইসে। সরস্বতীপূজার