পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৫১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

·ථ8\ෂ দেবগণের মর্ত্যে আগমন হর্গা দেবীর কৃষ্ণচন্দ্র সিংহ রায় ও বৃন্দাবনচন্দ্র সিংহ রায় নামক দুই পুত্র। বৃন্দাবনচন্দ্র অত্যন্ত দয়ালু ছিলেন এবং নিজের বুদ্ধিবলে যথেষ্ট বিষয় বুদ্ধি করিয়াছিলেন। এই মহাত্মা চকদীঘির নিকটে মণিরামবাটী নামক একটা গ্রাম স্থাপন করিয়৷ তথায় বাস করিতেন। কৃষ্ণচন্দ্রের পুত্রাদি হয় নাই । বৃন্দাবনচন্দ্রের যোগেন্দ্রনাথ সিংহ রায় নামক এক পুত্র হয়। তিনিই সমস্ত বিষয়ের উত্তরাধিকারী হইয়াছেন । যোগেন্দ্রনাথ হুগলি কলেজে সুন্দররাপ ইংরাজী শিক্ষা করেন। ইনি কলিকাতা, হুগলি, হাবড়া, মেদিনীপুর ও বর্ধমান জেলায় অনেক বিষয় খরিদ করিয়াছেন। - অম্বিকাপ্রসাদ সিংহ রায়—সারদাপ্রসাদ সিংহ রায় নামক এক পুত্র এবং ক্ষীরোদামুন্দরী দেবী নাম্নী এক কল্প। রাখিয়া পরলোক গমন করেন। ক্ষীরোদামুন্দরী দেবীর কয়েকটি পুত্রের মধ্যে ললিতমোহন সিংহ রায় জ্যেষ্ঠ । ১৮৬৮ সালে সারদাপ্রসাদ সিংহ রায়ের মৃত্যু হয়। র্তাহার সস্তানাদি না থাকায় সমস্ত বিষয় ভাগিনেয় ললিতমোহন সিংহ রায়কে উইল করিয়া দিয়া যান এবং গ্রামে দাতব্য ঔষধালয়, বিদ্যালয়, অতিথিশালা প্রভৃতি স্থাপন করেন। এই মহাত্মা সাধারণের উপকারার্থে নিজ ব্যয়ে মেমারি হইতে চকদীঘি পর্য্যন্ত একটী পাকা রাস্ত নিৰ্ম্মাণ করিয়া দেন । সারদাপ্রসাদের পত্নীর নাম রাজেশ্বরী দেবী । ইনিও স্বামীর দ্যায় দান ধ্যানে রত ও পরোপকারিণী। ইহঁার পিত্রালয় দারহাট নামক গ্রামে। ঐ স্থানের চারি পাচ ক্রোশের মধ্যে বিদ্যালয়াদি না থাকায় নিজ ব্যয়ে একট অবৈতনিক বিদ্যালয় স্থাপন করিয়া দিয়াছেন। তদ্ভিন্ন এই পুণ্যবতী রমণী দারহাট হইতে হরিপাল পর্য্যন্ত লোকের যাতায়াতের কষ্ট দেখিয়া একট পাকা রাস্ত করিয়া দিয়াছেন।