পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৫১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S)8b- দেবগণের মর্ত্যে আগমন কা’ল আমার মৃত্যু হয়, তবে বিষয় লইয়া আমার শিশুটীর সহিত বে কি করিবেন বলিতে পারি না।” বলিয়া সেই দিন হইতে পৃথক হইলেন। ব্ৰহ্মা । কলিতে এরূপই হইবে । ভাল বরুণ ! ঐ যে একটা রাস্তা দেখা যাইতেছে, ও রাস্তাটা কোথায় গিয়াছে ? - বরুণ। রাস্তাটির নাম গ্রাও ট্রাঙ্ক রোড। ও রাস্তা পলতা নামক স্থান হইতে আরম্ভ হইয়। হুগলি, মগর, পাণ্ডুয়া, মেমরি, বৈঁচি ও বদ্ধমানের নিকট দিয়া রাণীগঞ্জ অভিমুখে চলিয়া গিয়াছে। ইন্দ্র। রাস্তাটির নাম কি ?—গ্রাও ট্রাঙ্ক রোড । ইংরাজরাজ্যে কি রাস্তা-ঘাটেরও নাম আছে ? বরুণ। আছে বৈ কি। যথা—গবর্ণমেণ্ট রোড, ফেরিফও হইতে উদ্ধৃত্ত টাকায় নিৰ্ম্মিত ফেরিফও রোড, মিউনিসিপাল রোড, এবং সাহায্যকৃত রোড ইত্যাদি । ইন্দ্র। আমরাও স্বর্গে গিয়া রাস্তার নামকরণ করিব । আবার ট্রেণ ছাড়িল এবং অনতিবিলম্বে উপ পাণ্ডুয়ার মসজিদ দেখ্রিয়া চীৎকার শব্যে কহিল “বরুণকাকা । ওটা কি ?” বরুণ ৷ পাণ্ডুয়ায় ট্রেণ এল । এই সময়ে ট্রেণ “ঝ ঝনাৎ" শব্দে ষ্টেশনে থামিল । দেবগণ ট্রেণ হইতে নামিয়া দেখেন-চাচার কলিকাতায় কুঁকড়ে চালান দিবার জন্ত এক গণ্ডা, দুই গণ্ডা করিয়া গণে গণে চাঙ্গারি বোঝাই করিতেছে। নারা । বরুণ! এই কুঁকড়োগুলো কি হবে ? বরুণ। কলিকাতার বাজারে উচ্ছে, আলু, তরকারী প্রভৃতির স্থায় বিক্রয় হইবে । আহ ! সাহেববাড়ীর বাবুর্চিরা পেয়াজ ও রমুনের পোটলার সহিত যখন এই দুর্ভাগা পার্থীগুলোর পা ধরিয়া ঝুলাইয়া লইয়া যায়, দেখিলে চক্ষে জল আইসে। মনে মনে ভাবি “পিতামহ ইহাদিগকে পার্থী না করিয়া গাছের ফল করেন নাই কেন ?”