లిée দেবগণের মর্ত্যে আগমন শাশুড়ী ও ননন্দার নিন্দ করিয়া কিরূপ কষ্ট্রে দিন কাটাইয়াছেন—মনের সাধে ব্যক্ত করিতেছেন। কোন খানি হইতে অল্পবয়স্ক বেীগুলি শতরঞ্চ অত্যন্ত্র উচু করিয়া স্থানটা দর্শন করিতেছেন। দেবতারা এখান হইতে বাশবনের ভিতর দিয়া পাণ্ডুয়ার মন্দিরের নিকট উপস্থিত হইলেন এবং সকলে সবিস্ময়ে চাহিতে লাগিলেন। পিতামহ কহিলেন, “বরুণ! এত মুসলমান মন্দির দেখিলাম ; কিন্তু ঐ মন্দিরটা হিন্দু মন্দিরের স্তায় বোধ হইতেছে কেন ?” বরুণ। আজ্ঞে, এই মন্দিরটা প্রায় পাঁচ শত বৎসরেরও অধিক হইবে । পাণ্ডুয়া পূৰ্ব্বে হিন্দু রাজার অধিকৃত ছিল। তাহার নাম পাণ্ডু। সেই পাণ্ডু হইতে বর্তমান পাণ্ডুয়া নাম হইয়াছে। কেহ কেহ বলেন—ঐ রাজবংশের কোন কন্যা প্রত্যহ গঙ্গাদর্শন করিবার মানসে পিতাকে বলিয়া ইহা নিৰ্ম্মাণ করাইয়া লন। ইহা প্রায় ১২০ ফিট উচ্চ। ইহার উপর হইতে হুগলি পৰ্য্যস্ত দেখিতে পাওয়া যায়। মন্দির সম্বন্ধে আবার কতকগুলি লোক বলে—মুসলমানেরা গরু-কাটা যুদ্ধে জয়লাভ করিয়া তাহার স্মরণ চিহ্নস্বরূপ এই মন্দিরটা নিৰ্ম্মাণ করাইয়াছে। ফলতঃ এই মন্দিরটর বিষয়ে অনেক ঐতিহাসিক বিবরণ আছে। যদি এখানে হিন্দু রাজাদিগের সময়ে কোন সুকবি বাস করিতেন, তাহা হইলে তিনি রামায়ণ ও মহাভারতের স্তায় পাণ্ডুয়ার গোযুদ্ধ লিখিয়া অমরত্ব লাভ করিতেন এবং আমরাও ইহার সবিশেষ বৃত্তান্ত জানিতে পারিতাম। ব্ৰহ্মা । গোযুদ্ধ কি ? বরুণ। ১২৪০ সালে এখানকার রাজসরকারে এক মুন্সী বাস করিতেন । রাজকাৰ্য্য পারস্ত্যভাষায় তরজমা করিয়া সম্রাটের নিকট পাঠাইবার জন্ত ইনি মোগল সরকার হইতে নিযুক্ত হইয়া আইসেন। মুন্সী এক সময় নিজ পুত্রের অন্নপ্রাশন উপলক্ষে অতি গোপনে একটা গরু কাটেন এবং পাছে কেহ দেখিতে পায়, এই আশঙ্কায় উহার হাড় ও
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৫১৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।