পাণ্ডুয়া - ○む> পাজরাগুলা একস্থানে পুতিয়া রাখেন। দুর্ভাগ্যবশতঃ ঐ সমস্ত হাড় মাংসলোভী শৃগালগণ কর্তৃক মৃত্তিক হইতে বহিষ্কৃত হয়। তাহ দেখিয়া হিন্দুরা অত্যস্ত রাগান্বিত হইয়া উঠে এবং কে এই পাপকাৰ্য্য করিয়াছে তাহার অনুসন্ধান করিতে থাকে। পরিশেষে তাহারা জানিতে পারে— মুদী পুত্রর অন্নপ্রাশন উপলক্ষে এই গৰ্হিত কাৰ্য্য করিয়াছে। তথন নগরস্থ যাবতীয় হিন্দু সশস্ত্রে দলে দলে রাজসন্নিধানে যাইয়া কহিল, "মুলীর প্রাণদণ্ড করিতে আজ্ঞা হউক, অন্যথা তাহকে আমাদিগের হস্তে অর্পণ করা হউক।” রাজা ইহাতে সম্মত না হওয়াতে বিদ্রোহিদল রাজপুত্রকে হত্যা করে। রাজা উপস্থিত বিপদ হইতে উদ্ধার পাইবার জন্ত মোগল সরকারে জানাইলেন, কিন্তু কোন ফল প্রাপ্ত হইলেন না ; অগত্য র্তাহাকে প্রজাদিগের সহিত যোগ দিতে হইল। মুন্সী গোলযোগ দেখিয়া ইতঃপূৰ্ব্বে নগর হইতে পলায়ন করে এবং গ্রামে গ্রামে নগরে নগরে পর্য্যটন করিয়া অসংখ্য মুসলমান সংগ্ৰহ,করিয়া পাণ্ডুয়া নগর আক্রমণ করে। ক্রমে গরুকাটা যুদ্ধ আরম্ভ হইল। এই যুদ্ধে ক্রমান্বয়ে ৬০জন রাজা ও অসংখ্য হিন্দুসেনা হতাহত হইলে শেষে মুসলমানেরাই জয়লাভ করিল এবং হিন্দুদিগকে নগর হইতে বহিস্কৃত করিয়া দিয়া নিজেরাই বাস করিতে লাগিল। তদবধি পাণ্ডুয়। হিন্দুরাজ্য হইতে বিচু্যত হইয়া মুসলমান-প্রধান স্থান হইয়াছে। নারা । মন্দিরমধ্যে এক্ষণে আছে কি ? বরুণ। লোকে বলে—মন্দিরের চুড়ায় মুসলমান সাধু সা-সফির ভ্রমণের লৌহ নিৰ্ম্মিত ছড়ি আছে। মুসলমান যাত্রীরা প্রতি বর্ষে পৌষ মাসে ঐ ছড়ি পূজা করিবার জন্য দলে দলে আসিয়া থাকে। সেই সময়ে এই উপলক্ষে একটা করিয়া মেলা হয়। ইন্দ্র । মন্দিরের ওদিকে ওটা কি ? বরুণ। গরুকাটা যুদ্ধে মুসলমানদিগের যিনি নেতা ছিলেন, তাহারই কবর।
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৫১৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।