পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৫২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७¢8 দেবগণের মর্ত্যে আগমন সময় জামাই যেতে দিলেন না। ব’ল্পেন—মোহন্ত ঘানী টানতে গিয়ে সে চমৎকার ওষুধটো ভুলে এসেছে।” উপ। কর্তা জেঠা ! আবার সেই ফোড়াটা টন্‌ টন্‌ ক’চে। পিতামহ ভয় নাই; ভয় নাই” “তারকনাথ তোকে ভাল করবেন।” বলিয়া চারিট পয়সা উপর কপালে স্পর্শ করাইয়া গেটে রাখলেন এবং সকলে স্ত্রীলোকদিগের পশ্চাৎ পশ্চাৎ আসিয়া সিন্নি ভাসান দেখিবার জন্য পুকুরের নিকট উপস্থিত হইলেন । পুষ্করিণীর তীরে উপস্থিত হইয়া আমার মা, ক্ষেমার মা, মেস্তার মা উৰু হইয়। “টিপ” “টিপ” শব্দে পীরকে প্রণাম করিল, এবং পোটল হইতে কলার পাতে বাধা সিন্নি বাহির করিল। প্রথমে শুমার মা জলে সিন্নি দিলেন। দেবামাত্র একটা মৎস্ত আসিয়া পাতা-শুদ্ধ সিন্নি লইয়া জলে ডুব দিল ; স্ত্রীলোকেরা সবিস্ময়ে কহিতে লাগিলেন “পীর ডুবাইয়াছেন—এখন ভাসলে বাচি। তাহা হইলে বাছ আমার ছেলে কোলে পাবে।” কিয়ৎক্ষণ পরে শুদ্ধ পাতা জলের উপরে উঠিল, কিন্তু নিকটে আসিল না ; তখন শুামার মা হতাশ্বাস হইয়া মরাকান্না আরম্ভ করিলেন । মেস্তার মা এবার সিন্নি ভাসাইলেন ; তাহার সিন্নি ডুবিল। কিন্তু যে মৎস্তটা মুখে করিয়া লইয়া গিয়াছিল, তাহার মুখ হইতে অপর একটা মৎস্ত কাড়িয়া লইবার উদ্যোগ করাতে কতক পাটালী জলে পড়িল এবং অত্যন্স সিন্নিসহ মৎস্তটা পাতা মুখে করিয়া তীরের দিকে আসিল ; মেস্তার মা অমনি “ঐ ভেসেছে” “ঐ ভেসেছে” বলিয়া লাফাইয়া জলে পড়ায় মৎস্তটা সিন্নির পাতা ফেলিয়া পলাইল । মেস্তার মা সিন্নি হাতে পাইয়া সহৰ্ষে উলু দিতে দিতে তীরে উঠিলেন। ক্ষেমার মারও ঠিক ঐ দশ ঘটিল। তখন উভয়ে জাকাইয়া উলু দিতে লাগিলেন। শুামার মা কঁাদিতে কাদিতে কহিলেন “পোড়া-কপালে পীরের আমি যে কি করেছি, ব’লতে পারিনি। সকলের সিন্নি ফেরত দিলে, কেবল আমার দিলে না ! গোল্লায় যান, গোল্লায় যান।”