○○や দেবগণের মর্ত্যে আগমন রাখালের বৃক্ষতলে বসিয়া জংলা সুরে এবং আড়খেমটা তালে গান করিতেছে— . কাটা পীর কি ফ্যারে ফেলালে আজ মোরে । ও মুই পুকুর পাড়ে হেরিয়ে এলুম মামুরে। কেন্তে টােক দিয়ে মোর হাতে, কোলকি আর পাচুনি লিয়ে, মামু ঢোকুলে কোন পথে ; ও মুই ঠেউরে কিছু ট্যার পেলুম না, মামু ডোবুল বুঝি পোকুরে ॥ দেবগণ গান শুনিতে শুনিতে এক স্থানে উপস্থিত হইলে ইন্দ্র কহিলেন “পেড়োয় কি পূৰ্ব্বে নদী ছিল ?” সন্মুখে শুষ্ক নদীর মত কি দেখা যাইতেছে?” বরুণ। ১২•৭ সালে পাণ্ডুয়া যখন রাজকীয় স্থান ছিল, তখন নগরের চতুর্দিকে প্রায় পাঁচ মাইল বিস্তৃত অত্যুচ্চ প্রাচীর এবং প্রাচীরের সংলগ্ন সুগভীর পরিখা ছিল। সেই পরিখার বর্তমান চিহ্ন দেখিয়াই তুমি নদী ভাবিতেছ। 瞬 o উপ। বরুণ-কাকী ! দেখা যাচ্চে—ওটা কি ? বরুণ। দেবরাজ ! সম্মুখে একটা বৃহদাকার কবর দেখ। ঐ কবরে অনেকগুলি মুসলমান চিরনিদ্রা-মুখ অনুভব করিতেছেন। পিতামহ ! এক্ষণে চলুন, মগরার টিকিট লইয়া ত্রিবেণী যাই। ত্রিবেণী বঙ্গদেশের মধ্যে একটী মহাতীর্থস্থান । কারণ, প্রয়াগে গঙ্গা যমুনা সরস্বতী একত্র হন এবং ত্রিবেণীতে আসিয়া উহার তিন দিকে পৃথক হইয়া যান। এই নিমিত্ত ত্ৰিবেণীর অপর নাম মুক্তবেণী এবং এই কারণেই ত্রিবেণী মহাতীর্থ। ব্ৰহ্মা। বরুণ! ত্রিবেণীতে যাইলে ত গঙ্গার সহিত সাক্ষাৎ হইতে পারে ? তুমি আমাকে ত্রিবেণীতেই লইয়া চল । এই কথায় সন্মত হইয়া সকলে ষ্টেশনের অভিমুখে চলিলেন। যাইতে যাইতে বরুণ কহিলেন, “এই পল্লীগ্রামে প্রায় তিন হাজার লোকের বাস। তন্মধ্যে তিন ভাগ মুসলমান—একভাগ হিন্দু পুৰ্ব্বে এখানে বোৰেটে
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৫২২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।