পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৫২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাণ্ডুয় ల8ళి ডাকাইতের অত্যন্ত প্রাদুর্ভাব ছিল । এক্ষণে ব্রিটিশ মুশাসনে ডাকাইত ও চোরের আর কোন ভয় নাই। পাণ্ডুয়ায় বিদ্যাশিক্ষার বিশেষ চর্চা নাই। অধিবাসীদের মধ্যে আয়মাদারেরাই সঙ্গতিপন্ন। তাহাদের দৌরাত্ম্যে পূৰ্ব্বে এখানে ঢাক বাজাইয়া হিন্দু দেব দেবীর প্রতিমূৰ্ত্তি পূজা করিবার কাহারও ক্ষমতা ছিল না। পূজা করিলে উহারা দলে দলে আসিয়া প্রতিমা ভাঙ্গিয়৷ দিত। এক্ষণে এখানকার পোদারেরা অর্থবলে গবৰ্ণমেণ্টে দরখাস্ত ও মকদ্দমা মামলা করিয়া দুর্গাপূজা করিতেছে এবং বৎসর বৎসর দুই চারি খানি করিয়া প্রতিমার সংখ্যাও বৃদ্ধি হইতেছে। এখানে নারিকেল বৃক্ষ অধিক ; অপৰ্য্যাপ্ত নারিকেল জন্মিয় থাকে।” র্তাহারা ষ্টেশনের সন্নিকটে উপস্থিত হইয়া দেখেন, টিকিট দিবার বিলম্ব আছে। ষ্টেশনের দুই একটা ছোটখাট দেবতা একটা গৃহে বসিয়া তবলা বাজাইয়া ঝিঝিট থাম্বাজ রাগিণী ও মধ্যমান তালে গান ধরিয়াছেন— “এমন যে হবে প্রেম যাবে একভূ মনে ছিল না। এ চিত নিশ্চিত ছিল পীরিতে বিচ্ছেদ হবে না ॥ ভেবেছিলাম নিরস্তর, হয়ে রব একান্তর, যদি হয় প্রাণান্তর, মনাস্তর তায় হবে না ৷ গানটী নারায়ণের বড় মিষ্ট লাগিল । তিনি কহিলেন “বরুণ ! এ গানের বঁাধনদার কে ?” বরুণ । এই গান যিনি রচনা করেন, তাহার নাম রামনিধি গুপ্ত। অনেকে ইহঁাকে নিধুবাবু বলিয়াই জানে। পাণ্ডুয়ার সন্নিকটস্থ চাপৃত। নামক গ্রামে নিধুবাবুর পৈতৃক বাস ; ইনি সৰ্ব্বদাই কলিকাতা কুমারটুলিতে বাস করিতেন। ইহঁারা জাতিতে বৈদ্য। নিধু বাবুর আদিরসঘটিত গীতগুলি বড় রসাল ও স্বভাব-পরিপূর্ণ। ঐ সমস্ত গীত নিধু বাবুর টপ্পা নামে বঙ্গদেশে বড় বিখ্যাত। ইনি “সঙ্গীত-রত্নাকর” নামক একখানি গ্রন্থে এই সমস্ত গীত প্রচার করিয়াছেন।