VENe দেবগণের মর্ত্যে আগমন মার” না বলিলে গাড়ী চলিতেছে না। ভাল বরুণ! উহার কে ? আমি দেখিতেছি, উহাদের মত দুর্ভাগ্য জীব জগতে আর নাই। অতএব কি পাপে উহার এরূপ কৰ্ম্ম ভোগ করিতেছে, আমাকে বিশেষ করিয়া বল । বরুণ। পিতামহের স্মরণ থাকিতে পারে—এক সময় ভগবান অনন্তদেব বামনরূপে পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন। তিনি বলি রাজাকে সত্যে বদ্ধ করিয়া একটা পণ্ডিত এবং একশত আটট মুখের স্বষ্টি করিলেন এবং রাজাকে কহিলেন “রাজন্! যদি স্বৰ্গ কামনা কর, এই একশত আট মুখকে সঙ্গে লইয়া যাইতে পার ; আর যদি পাতাল কামনা কর, এই পণ্ডিতটিকে সঙ্গে লইতে পার।” বলি তৎশ্রবণে কহিলেন, “ভগবন্! এক আধটা মূখ হুইলেও আমি সঙ্গে লইয়া স্বর্গে যাইতাম না, অতএব একশত মূর্থের সহিত আমি কি প্রকারে স্বর্গে বাস করিব ? আপনি আমাকে ঐ পণ্ডিতটা প্রদান করুন, পাতালেই প্রবেশ করি।” বামন তৎশ্রবণে পণ্ডিতটা প্রদান করিলে বলি রাজা পাতালে প্রবেশ করিলেন। বলি পাতালপ্রবেশ করিলে ঐ একশত আট মুখ কাদিতে কঁাদিতে কহিল “প্রভো! আমাদিগকে স্বষ্টি করিলেন, এক্ষণে আমরা কি কাজ করিব আজ্ঞা করুন।” তৎশ্রবণে নারায়ণ কহিলেন, “কলির মধ্যসময়ে যখন ইংরাজরাজ ভাগীরথীর চতুঃসীমা বন্ধন করিয়া রেলওয়ে ট্রেণ চালাইবেন, সেই সময়ে তোমরা ষ্টেশন মাষ্টার হইয়া প্রত্যেক ষ্টেশনে বিরাজ করিবে!” আবার ট্রেণ হুপাছপ শব্দে ছুটিতে লাগিল এবং অনতিবিলম্বে মগরা ষ্টেশনে আসিয়া উপস্থিত হইল। তখনও বৃষ্টি না থামাতে দেবতারা একটা দোকানঘরে বসিয়া গল্প করিতে লাগিলেন । বরুণ কহিলেন, “মগরার - লৌহনিৰ্ম্মিত পোলট বড় সুন্দর! এই পোলট কুন্তী নদীর উপর অবস্থিত। ঐ নদী মগরার কিছু দুরে যাইয়া নারিচ নিত্যানন্দপুর নামক গ্রামের নিকট দিয়া বেহুল নদীর সহিত মিলিত হইয়াছে। পরে উভয় নদী নসরায়ের নিকট দিয়া গঙ্গায় গিয়া পড়িয়াছে। একশত বৎসর পূৰ্ব্বে মগরার খালে
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৫২৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।